
দূষণের চোটে ভয়াবহ অবস্থা দিল্লির। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে স্কুল-কলেজ পর্যন্ত ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছিল দিল্লির সরকার। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স খুব একটা ভাল কথা বলছে না। আপনি হয়তো বলবেন কলকাতায় থাকেন। তবে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কিন্তু বলছে কলকাতাও খুব একটা ভাল জায়গা নেই। রয়েছে অরেঞ্জ সতর্কতা।

বাড়ির বাইরের দূষণ থেকে বাঁচতে বাড়ির ভিতরে এয়ার পিউরিফায়ার লাগাচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে যাঁদের হাঁপানির সমস্যা আছে বা সিওপিডির রোগী তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশি। এই সময়ের বাড়ির ভিতরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ রাখবেন কী ভাবে? রইল টিপস।

বাড়িতে ধূমপান করবেন না - বাড়িতে ধূমপান করেন অনেকেই। অনেকে এমন আছেন যাঁরা কেবল বাড়িতেই ধূমপান করেন। তবে এই অভ্যাস বাড়ির অভ্যন্তরীণ বাতাসকে প্রভাবিত করতে পারে। একান্তই ধূমপান করলে খোলা জায়গায় বা দরজা-জানলা খুলে রেখে ধূমপান করুন।

ইনডোর প্ল্যান্টস লাগান - ইনডোর প্ল্যান্ট কেবল বাড়ির শোভা বাড়িয়ে তোলেন এমনটাই নয়। অনেক গাছপালা আছে যা বেনজিন এবং ফরমালডিহাইডের মতো টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। স্পাইডার প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, পিস লিলি, অ্যালোভেরা, বোস্টন ফার্নের মতো কিছু গাছ ঘরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে কার্যকরী।

রক্ষণাবেক্ষণের উপর জোর দিন - নিয়মিত বাড়ির গ্যাজেটগুলি রক্ষণাবেক্ষণে নজর দিন। AC ইউনিটে পুরানো ফিল্টার পাল্টানো। হিটার যা বাতাস্কে প্রভাবিত করে ইত্যাদি। বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী ব্যবহারের চেষ্টা করুন, এতে দূষণের মাত্রা কমবে।

ভ্যাকুয়ুম করুন - বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকলে এই কাজ রোজ করুন। ঝাটা দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে বেশি ধুলো ওড়ে, ফলে বাতাস দূষিত হয়। তাই ভ্যাকুয়ুম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করলে সেই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এয়ার পিউরিফায়ার - বাতাসের গুণমান বজায় রাখতে বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। এতে ভালভাবে শ্বাস নিতে পারবেন। ধূলিকণা, অ্যালার্জির মতো অভ্যন্তরীণ দূষণকারী বিষয়গুলির সমস্যাও কমবে। বায়ুর গুণমান বাড়বে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্য়া, অ্যালার্জির মতো ঝুঁকি কমবে।

কার্পেট ব্যবহার এড়িয়ে চলুন - কার্পেট যত রাজ্যের নোংরার আড্ডা। ধুলোবালি, পোষ্য থাকলে তার লোম, অনান্য ও নোংরা জমে থাকে। যা বাতাসের সঙ্গে উড়ে বেড়ায়, নাকের মাধ্যমে ফুসফুসে গিয়ে শরীরের ক্ষতি করে। তাই কার্পেট ব্যবহার এড়িয়ে চলাই ভাল।