
নিয়মিত বাইরে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কম বয়সিদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ফ্যাটি লিভার ছাড়াও যে সমস্যা জটিলতা বাড়ায়, তা হল জন্ডিস। লিভার সঠিকভাবে ডিটক্সিফাই না হলে বিলিরুবিন হিসেবে জমতে থাকে। এখান থেকে জন্ডিস ধরা দেয়।

লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙে তৈরি হয় বিলিরুবিন। হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিলিরুবিন দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু রক্তে বিলিরুবিন বাড়তে শুরু করলে জন্ডিস দেখা দেয়। তখন চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যায়। হেপাটাইটিস ভাইরাসের কারণে জন্ডিস দেখা দেয়।

জন্ডিসের সাধারণ লক্ষণ হল প্রস্রাব, চোখ ও নখ হলদে হয়ে যাওয়া। শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। জন্ডিস হলে সেদ্ধ খাবার খেতে হয় এবং শরীরকে বিশ্রাম দিতে হয়। এছাড়া আর কী-কী বিষয় মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন, রইল টিপস।

জন্ডিস হলে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। তেল, ঘি ও মশলাদার খাবার জন্ডিসে এড়িয়ে চলা উচিত। পাশাপাশি আমিষ খাবারও যত কম খাবেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।

লিভারে কোনও রকম ক্ষতিকারক পদার্থ জমতে দেওয়া যাবে না। তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। জল লিভারে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়।

দিনে ৩ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টিয়ের বদলে ভেষজ চাও খেতে পারেন। এগুলো শরীর জমে থাকা টক্সিন দূর করে দেয়। পাশাপাশি এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

পাকা পেঁপের খাওয়ার পাশাপাশি পেঁপে পাতার রস পান করুন। পেঁপে পাতায় পাপাইন নামের একটি যৌগ পাওয়া যায়, যা জন্ডিসের চিকিৎসায় সাহায্য করে। পেঁপের পাতার রস মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

শীতের বাজারে সহজেই আমলকি পেয়ে যাবেন। এই ফল জন্ডিস থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। এটি বিলিরুবিনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আপনি কাঁচা আমলকি বা আমলকির রস খেতে পারেন।