
গরমকালে পেট খারাপ, ডায়রিয়া, গ্যাস বা বদহজম হওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। উচ্চ তাপমাত্রা, ঘামের মাধ্যমে জল ও লবণের ঘাটতি, এবং উলটো পালটা খাবার খাওয়ার কারণে পেটের সমস্যা বাড়ে। এই সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে তাই চাই বাড়তি যত্ন। কী ভাবে তা হবে?

বিশুদ্ধ ও পর্যাপ্ত জল পান করুন - গরমে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়, ফলে জলশূন্যতা তৈরি হয়। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ জল পান করুন। রাস্তায় থাকলে বোতলজাত জল বা নিজের বোতলে আনা জল খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ওআরএস বা লবণ-চিনির মিশ্রণ খাওয়া যেতে পারে।

রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন - গরমে রাস্তার খাবার অনেক সময় খোলা পরিবেশে রাখা থাকে, যেখানে ধুলা-ময়লা বা মাছি বসে। এতে সংক্রমণ ছড়ায় ও পেট খারাপ হতে পারে। ফুচকা, চাট, কাটা ফল বা খোলা শরবত না খাওয়াই ভাল।

হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান - গরমে বেশি ঝাল, ভাজাপোড়া ও মশলাদার খাবার খেলে হজমের সমস্যা হয়। এর বদলে ভাত, ডাল, সবজি, দই, ইডলি, খিচুড়ি, ফলমূল ইত্যাদি সহজপাচ্য খাবার বেছে নিন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন - খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধোয়া খুব জরুরি। ফল বা সবজি খাওয়ার আগে ভালভাবে ধুয়ে নিন। রান্নার পাত্র বা বাসন সবসময় পরিষ্কার রাখুন।

ফ্রিজের খাবারে সতর্ক থাকুন - ফ্রিজে রাখা পুরনো খাবার গরম না করে খাওয়া বিপজ্জনক। খাবারে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিলে পেটের সমস্যা হতে পারে। একদিনের বেশি পুরনো খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

পাকা ফল খান, কিন্তু পরিমাণ বুঝে - গরমে তরমুজ, পেঁপে, আম, খিরসাপাত প্রভৃতি ফল হজমে সাহায্য করে ও শরীর ঠাণ্ডা রাখে। তবে অতিরিক্ত ফল খেলে গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। তাই পরিমাণমতো খান।

দই ও প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খান - দই পেট ঠাণ্ডা রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। প্রতিদিন এক বাটি টকদই বা ঘরে তৈরি লাচ্ছি খাওয়া যেতে পারে।