
প্রেগন্যান্সি নিয়ে মেয়েদের মধ্যে অনেক ভাবনা থাকে। তবে প্রকাশ্যে এই বিষয় নিয়ে সংকোচবোধ করেন অনেক মহিলাই। ফলে না জেনেই ভুল পদক্ষেপ করে ফেলেন অনেকসময়।

গর্ভাবস্থা প্রত্যেক মেয়ের জীবনেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা। এই সময় মেয়েদের জীবনে নানারকম পরিবর্তন আসে। তাই এই খবর কীভাবে কখন পাবেন, তাও জানা সমানভাবে জরুরি।

কিন্তু গর্ভাবস্থা নিয়ে সঠিক তথ্য জেনে সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক মহিলাই বুঝে উঠতে পারেন না যে মিলনের কতদিন পর টেস্টে করালে সঠিক ফল মিলবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিলনের সঙ্গে সঙ্গেই গর্ভধারণ করা সম্ভব নয়। কারণ এর জন্য সময় লাগে। সাধারণত, শুক্রাণুর জরায়ুতে পৌঁছাতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে।

এরপর ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হলেই তৈরি হয় ভ্রুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মিলনের তিন থেকে চারদিনের মধ্যে গর্ভধারণ হয়।

গর্ভে একটি শুক্রাণু পাঁচদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করলে গর্ভবতী হন একজন মহিলা।অন্যদিকে সময় পেরিয়ে গেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বিফলে যায়।

গর্ভবতী হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শরীরে নানান ধরনের লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে। তবে পরীক্ষার করানোর আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। পিরিয়ডের প্রথম তারিখ মিস হলে তবেই পরীক্ষা করান।

এছাড়াও, মাসিকের ১০ থেকে ১৪ দিন পর পরীক্ষা করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পরীক্ষা ইতিবাচক ফল আসলে হাসপাতালে গিয়ে রক্তের পরীক্ষা করাতে হবে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে।