TV9 Bangla Digital | Edited By: megha
Apr 12, 2023 | 1:32 PM
নববর্ষের আগেই গরমে পুড়ছে বাংলা। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী কয়েকদিন রাজ্যে দিনের তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। আপাতত বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়া শুষ্কই থাকছে। আর এতেই বাড়ছে দুশ্চিন্তা। এমন গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।
রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকলে এবং এমন শুষ্ক আবহাওয়ায় হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বেশি। এই পরিস্থিতিতে যখন-তখন অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। গরমে যদি শরীর খারাপ লাগে কিংবা রাস্তাঘাটে রোদে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে কী করবেন? রইল টিপস।
গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপ লাগলেও এই গরমে ঘাম হচ্ছে না। এতেই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাই জল তেষ্টা না পেলেও আপনাকে জল পান করতে হবে। হাইড্রেশনই সুস্থ থাকার মূল দাওয়াই।
রোদে রাস্তায় যত কম বেরোনো যায়, ততই উপকার। কিন্তু কাজ থাকলে তো রোদে বেরোতেই হবে। সেক্ষেত্রে ফুলহাতা সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। তার সঙ্গে ছাতা, টুপি, সানগ্লাস ব্যবহার করুন। যাঁরা মোটরগাড়ি চালান তাঁরা নাকে-মুখে ভিজে রুমাল বাঁধতে পারেন। এছাড়া রাস্তায় বেরোলে ভিজে গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মাথা-কাঁধ ঢেকে রাখুন। এতে বাইরের তাপমাত্রা সরাসরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে না।
গরম হাওয়া বা লু-এর হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রোদে না বেরোনোই ভাল। এত গরমে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। তখন মাথা ঘোরা, রক্তচাপ কমে যায়, খিঁচুনির মতো লক্ষণগুলো দেখা দেয়। এগুলো হিট স্ট্রোকের লক্ষণ। তাই সঙ্গে জল রাখুন। রোদে জল খেলে ঠান্ডা-গরমের সমস্যা হতে পারে কিন্তু হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো যাবে।
হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে যেমন প্রচুর পরিমাণে জল পান করবেন, তেমনই শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতে ঠান্ডা জলে স্নান করুন। এই সময় দিনে দু'বার ঠান্ডা জলে স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি তৈরি হলে গরমে পেশিতে টান ধরে। এটাও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ। তাই রাস্তায় বেরোন কিংবা বাড়িতে থাকুন সঙ্গে সবসময় জলের বোতল রাখুন। নুন-চিনি জল খেতে পারেন। এই গরমে ডাবের জল ভীষণ উপকারী। লস্যিও খেতে পারেন। তবে, এই গরমে অতিরিক্ত চা-কফি, মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
রাস্তায় বেরিয়ে সূর্যের তাপে ক্লান্তি অনুভব হলে, অসুস্থ বোধ করলে ঠান্ডা জায়গা বা ছায়া ঘেরা জায়গা খুঁজে বিশ্রাম নিতে হবে। জামাকাপড় আলগা করে দিন। ঘাড়ে, মুখে ঠান্ডা জল দিতে হবে। ঠান্ডা জল ও ওআরএস-এর জল খেতে হবে। অজ্ঞান হয়ে গেলে রোগীকে পাশ ফিরে শুয়ে দিন। অবস্থার অবনিত হলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।