
হাঁপানির সমস্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে শীতে? বাড়ির খুদেকে নিতে হচ্ছে ইনহেলার। কখনও আবার বাড়ির বয়ষ্ক ব্যক্তিকেও নিতে হচ্ছে ইনহেলার। অনেকেই ভাবেন একবার ইনহেলার ব্যবহার করা মানেই তা আজীবনের সঙ্গী। কী বলছেন বিশেষজ্ঞ?

সিনিয়র কনসালটেন্ট পালমোনোলজিস্ট ডক্টর সুজন বর্ধন জানাচ্ছেন, ইনহেলার ব্যবহার নিরাপদ। যে ওষুধ ইনহেলারে যাচ্ছে, সেটার প্রভাব সরাসরি ফুসফুসে পড়ে। এর সাইডএফেক্ট কিছুই নেই। আর কী কী বলছেন তিনি, রইল বিস্তারিত।

চিকিৎসকের পরামর্শ মতো যদি ইনহেলার নেন, তাতে সমস্যা হয় না। যে কোনও ড্রাগ অতিরিক্ত নিলে সাইড এফেক্ট হয়। ইনহেলার নেওয়ার পর ভালো করে কুলকুচি করতে হয়। যাতে মুখের অন্য সমস্যা না হয়।

ইনহেলার নিলে বাচ্চাদের ওজন বাড়তে পারে। তাতে চিন্তা করার কিছু নেই। বাচ্চাদের হাঁপানি একমাত্র পুরোপুরি সেরে যেতে পারে। যদি তা জিনগত না হয়। অ্যাডাল্ট অ্যাজমা পুরোপুরি সেরে ওঠে না।

ইনহেলার এমন ড্রাগস, যদি এটা শুরু করেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তা বন্ধ করা ঠিক নয়। কোনও বাচ্চা এটি যদি নেওয়ার অভ্যেস করে ফেলে, তার যখন ১৫-১৬ বছর হয় সেই সময় ইনহেলার যাতে আর ব্যবহার করতে না হয়, সে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।

অ্যালার্জিক হাঁপানিও হয় অনেকের। এই ধরুন কলকাতা থেকে মুম্বই গেলেন আপনি, সেখানকার আবহাওয়া, পরিবেশ আপনার না সইলে তখন ইনহেলার নিতে হতে পারে। সেটা অবশ্য সাময়িক। এক্ষেত্রে স্থান পরিবর্তন হলে হাঁপানিও সেরে যায়।

ঋতু পরিবর্তনের সময় ফুলের রেনু বাতাসে ঘোরে, চারিদিকে কুয়াশা হয়। আর তা বাতাসে মেশেষ সেই বাতাস যখন আমাদের মধ্যে প্রবেশ করছে, তখন অনেকের হাঁপানির সমস্যা হয়।

হাঁপানি জেনেটিক্যালিও হয়। মা, বাবা বা বাড়ির কারও থাকলে অনেকেই অ্যাজমায় আক্রান্ত হন। এই হাঁপানি সেরে যায় না। নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অনেক স্পোর্টসপার্সন অ্যাজমাটিক। কিন্তু তাঁদের হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে তাঁরা জীবনের অনেক ক্ষেত্রে সফল।