
কলকাতায় তেমন শীত এবার পড়েনি। তবে শহরতলিতে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। এমনিতেই আমাদের রাজ্যে শীতের স্থায়িত্ব কম, মেরেকেটে ২ মাস। এবার ডিসেম্বর শেষ হতে চললেও এখনও সেই ঠান্ডা পড়েনি

আর তাই ঠান্ডা উপভোগ করতে বছরশেষে কেউ চলে গিয়েছেন পাহাড়ে তো কেউ জঙ্গলে। এমনিতেই সপ্তাহশেষ, তার উপর বছরও শেষ। ফলে সব মিলিয়ে জমজমাট পার্টি। অনেক অফিসেই এই সময় টানা ছুটি থাকে

বাঙালি অল্প শীতেই কাবু হয়ে যায়। আর সেখানে যদি তাপমাত্রা ১০ এর আশপাশে ঘোরাফেরা করে তাহলে তো কথাই নেই। সেই ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে টুপি-মোজা-সোয়েটার এসব পরতেই হবে। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা রাতেও পায়ে মোজা পরে ঘুমোতে যাচ্ছেন

আর রাতে মোজা পরে ঘুমনো মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। এতে শরীরের অনেক রকম ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। শরীরে রক্ত চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি আরও কিছু সমস্যাও জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পায়। মোজা শক্ত হয়ে বসে থাকায় রক্ত চলাচলের তেমন সুযোগ থাকে না

আর শরীরের এই অংশে দিনের পর দিন স্বাভাবিক রক্তচলাচল না হলে বড়সড় জটিলতার মুখে পড়তে পারে সজীব কোষগুলি। শুধু তাই নয়, চাপ পড়ে নার্ভেও। পরবর্তীতে সেখান থেকে একাধিক স্নায়ুর সমস্যা আসতে পারে

সুতির বা উলেন মোজা খুব কম মানুষই পরেন। অধিকাংশ বাজার থেকে কেনা সস্তার লাইনের মোজা পরেন। এই মোজাতে ঘাম বেশি হয়, পায়ে গন্ধ হয়। সেখান থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনাও থেকে যায়। তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে যাতে সুতির মোজা পরতে পারেন

কাজের প্রয়োজনে অনেককেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা মোজা পরে থাকতে হয়। আর এর ফলেও কিন্তু পায়ে ব্যাকটেরিয়া, জীবানু জন্মায়। আর তা পা থেকে পেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে হাতের মাধ্যমে। তাই বাড়ি ফিরেই মোজা খুলে দিন এবং কাচুন

দিনের পর দিন নোংরা, গন্ধওয়ালা মোজা পরে ঘুমোতে যাবেন না। এতে একাধিক শারীরিক সমস্যা বাড়বে। শরীরে তাপমাত্রার হেরফের হবে। সেখান থেকে আসতে পারে পেটগরম, কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা। এমনকী ঘুমও ঠিকমতো হওয়ার সুযোগ থাকে না