সায়ম কৃষ্ণ দেব
Dec 23, 2024 | 3:34 PM
গবেষণা বলছে, গত ৪০ বছর ধরেই কমছে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা। কিন্তু কেন এমন ঘটছে? গবেষকদের দাবি, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে মানুষ নিজেই। অনিয়মিত জীবন যাপন, ধূমপান, মদ্যপান এবং পরিবেশ দূষণের বড় প্রভাব রয়েছে এর পিছনে।
আমেরিকার ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দল গবেষকের দাবি, স্থূলতার সমস্যাও শুক্রাণু কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। বিশেষত যাঁদের বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে তাঁদের এই দুশ্চিন্তা আরও বেশি। বয়স ৬০ হলে এটাই প্রবল সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। যদিও ১৭-৪০ বছর অবধি একজন সুস্থ মানুষের সর্বাধিক শুক্রাণু থাকে বলে মনে করা হয়।
গবেষকদের দাবি, যাঁদের বডি মাস ইন্ডেক্স বা বিএমআই ৩০ বা তার বেশি তাদের শরীরে শুক্রাণু উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি ব্যহত হতে পারে। স্থূলতা যৌন হরমোন, টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমিয়ে দিতে পারে। ফলে শুক্রাণু উৎপাদন কমে আসে।
পরিসংখ্যান বলছে গত ৪০ বছরে পুরুষদের শুক্রাণু উৎপাদন গড়ে ৫৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। চিকিৎসকদের মতে স্থূলতার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস এই সমস্যার অন্যতম কারণ। কী কী খাবার পাতে থাকলে বাড়ে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা জানেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রক্রিয়াজাত মাংস শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ। বেকন, সালামি থেকে হটডগ, বার্গার যেসব খাবারে এই ধরনের মাংস ব্যবহার করা হয় সেই সব খাবার বেশি খাওয়া উচিত নয়। রেড মিট এই ঘটনার জন্য দায়ী। তাই এই খাবার থেকে দূরে থাকুন।
বেশি ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পদার্থ থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবাদি পশুদের নানা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। এর প্রভাব পরে দুধেও। এই ধরনের গবাদি পশুর দুধে ফ্যাটযুক্ত পদার্থ অনেক বেশি থাকে। এই ধরনের দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য খেলে শুক্রাণুর চলাচল, গতি ও আকৃতিতে খারাপ প্রভাব পড়ে।
ক্ষতিকারক ফ্যাটি অ্যাসিড বা ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডকে এমনিতেই হৃদযন্ত্রের সমস্যার মূল কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমান গবেষণা বলছে, এই ধরনের পদার্থ শুক্রাণুর সমস্যার জন্যও দায়ী।
শুধু খাদ্য নয়, বর্তমানে উপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য সংরক্ষণের জন্য যে ধরনের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয় সেগুলিও শুক্রাণুর সমস্যার জন্য মারাত্মক ভাবে দায়ী। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হল, অধিকাংশ খাদ্যেই এই ধরনের রাসায়নিক মিশে থাকে যা এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। (সব ছবি - Getty Images)