
মহিলাদের একটি বড় সমস্যা হল, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে ওভারি অস্বাভাবিক ভাবে পুরুষ হরমোন আন্ড্রোজেন উৎপাদন করে, যা মহিলাদের শরীরে কম পরিমাণে থাকে

PCOS-এর ফলে মেনোপজে সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া শরীরে বিভিন্ন হরমোনের মাত্রার হেরফের হয়। যার ফলে ওজন বাড়তে শুরু করে। এছাড়া টেস্টোস্টেরন এবং অন্যান্য হরমোনের মাত্রার হেরফের হয়। যার ফলে ভিসারাল ফ্যাট জমার ঝুঁকি বেড়ে যায়, যাকে আমরা পেটের চর্বি বলি। অর্থাৎ ওবেসিটির সমস্যা দেখা দেয়

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কেবল ওবিসিটির সমস্যা বাড়ায় না, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় PCOS। এছাড়া রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়

PCOS সমস্যা শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ওবেসিটি, বেলি ফ্যাট, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো যায়। যদিও অনেকেই প্রথমদিকে বুঝতে পারেন না, তিনি PCOS-এ আক্রান্ত হয়েছেন। কীভাবে রোগ চিনবেন জেনে নিন

PCOS -এর প্রধান লক্ষণ হল, অনিয়মিত ঋতুচক্র। এছাড়া হঠাৎ করে ওডন বাড়তে শুরু করে, যা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। মুখে ও শরীরে অন্যান্য জায়গায় অবাঞ্ছিত লোম দেখা দেয়, মাথার চুল পাতলা হয়ে যায় এবং মুখে অতিরিক্ত ব্রণ হয়

PCOS -এর সমস্যা বাড়লে পেশিতে টান ধরা, তলপেটে ব্যথা এবং গর্ভধারণের সমস্যা হয়। এছাড়া ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রদাহজনক যৌগ নির্গত হয়। যার ফলে হজমের সমস্যা, প্রদাহজনিত সমস্যা-সহ শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়

ইউএসজি করলেই এই রোগ ধরা পড়তে পারে, ওভারিতে ছোট ছোটো সিস্ট দেখা যাবে। শুরুতেই যথাযথ চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। এছাড়া রোজ মেনুতে ডিম, দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাংস, দানাশস্য-সহ বেশি পরিমাণে প্রোটিন রাখতে হবে

PCOS -এর সমস্যা কমাতে চিনি যুক্ত খাবার এবং জাঙ্ক ফুড ডায়েট থেকে একেবারে বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে, নিয়মিত হাঁটা, সাইকেলিং, সাঁতার এবং যোগব্যায়াম করতে হবে। এই ধরনের শারীরিক কার্যকলাপ PCOS-এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে