
এখন ঘরে ঘরে আর্থারাইটিসের সমস্যা। বাংলায় যাকে বলে বাতের সমস্যা। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে হাতে-পায়ে ব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা এই সবের প্রকোপ বাড়তে থাকে। তবে ইদানিং প্রকোপ বেড়েছে এক বিশেষ ধরনের আর্থারাইটিসের। তা হলে রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস।

গবেষণা বলছে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে অল্প বয়সীদের মধ্যেও। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই রোগ থাবা বসাচ্ছে, বিশেষ করে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশ চিন্তার। ক্লান্তি, জ্বর, খিদে না হওয়া, জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা এই সবই আর্থারাইটিসের ব্যথার কারণ।

কী এই রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস? একপ্রকারের অটোইমিউন রোগ এই রিউম্যাটয়েড আর্থরাইটিস। মানবদেহকে বাইরে জীবাণু থেকেই রক্ষা করতে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের শরীরে রয়েছে তা যখন আপনার শরীরের সুস্থ কোষের ক্ষতি করতে শুরু করে তখন এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

এই সমস্যা যখন শরীরের জয়েন্টগুলিকেও প্রভাবিত করতে শুরু করে তখন তা রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিসের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর প্রভাব পরে আমাদের শরীরের অনান্য অংশেও। ত্বক, চোখ, ফুসফুস, হার্ট, রক্তনালীতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কিন্তু ঠিক কেন এই রোগে আক্রান্ত হন তাঁর কোনও সঠিক কারণ জানা যায়নি। পরিবেশগত কারণের ফলে এই রোগ হতে পারে। আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া বা বিশেষ ধরনের ভাইরাসের প্রভাবেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়া ঝুঁকি বাড়ে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই আর্থারাইটিস হয়ে থাকে জয়েন্টে। তার ফলে ব্যথাও হয় খুব। এক্ষেত্রে ভাইরাস জয়েন্টের লাইনিং-এ আক্রমণ করে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে জয়েন্টে সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়া দেখা গিয়েছে যে সেই জায়গাটা লাল হয়ে যায়। জয়েন্টে জয়েন্টে লাল হয়ে জ্বালা করে।

অনেকে ভাবেন এটা বোধহয় হাড়ের রোগ। তবে বিষয়টি মোটেও তা নয়। এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে জ্বর, খিদে না পাওয়া, ওজন কমে যাওয়ার মতো অসুখের লক্ষণ এই রোগের উপসর্গ। তাই রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস সম্পর্কে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

এই রোগের লক্ষণ দেখেলেই দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সময়ে চিকিৎসা না হলে ভয়ানক সমস্যার আকার ধারণ করতে হবে এই রোগ। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বেশিরভাগ সময়ে ওষুধে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া কিছু থেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে।