Hearing Problem: দিন দিন কি কানে কম শুনছেন? কেন এমন হয় জানেন, কী করবেন?
Hearing Problem: দীর্ঘ দিন উচ্চ স্বরের মধ্যে থাকতে থাকতে তার প্রভাভ পড়ে আমাদের শ্রবণ শক্তির উপরেও। আবার অনেক সময় বয়সজনিত কারণেই কমে আসে আমাদের শ্রবণ শক্তি। আপনিও কি আজকাল কানে কম শুনছেন? কোন ভুলের কারণে এমনটা হল? জানেন?
চারিদিকে জোর আওয়াজ, গাড়ির হর্নের আওয়াজ থেকে বাজির শব্দ, বা উচ্চ স্বরে গান-ডিজে বাজানো। এই সব শব্দ দূষণের কারণ হতে পারে। তবে দীর্ঘ দিন উচ্চ স্বরের মধ্যে থাকতে থাকতে তার প্রভাভ পড়ে আমাদের শ্রবণ শক্তির উপরেও। আবার অনেক সময় বয়সজনিত কারণেই কমে আসে আমাদের শ্রবণ শক্তি। আপনিও কি আজকাল কানে কম শুনছেন? কোন ভুলের কারণে এমনটা হল? জানেন?
দীর্ঘ দিন ধরে যদি আপনি ৮৫ ডেসিবেলের উপরে আওয়াজ শুনতে থাকেন, তা হলে শোনার ক্ষমতা কমে যায়। হর্নের শব্দ, কোলাহল, নাইট ক্লাব বা কোথাও তারস্বরে বক্স বাজানো, রান্নাঘরের মিক্সির শব্দ এই সবের মাত্রা হতে পারে ৯০-১২০ ডেসিবেল পর্যন্ত। ফলে দীর্ঘ সময় একটানা এমন আওয়াজ কানে গেলে শ্রবণশক্তি কমতে পারে।
কটন বাড তো বটেই, চুলের ক্লিপ, সেফটিপিন, কাঠি দিয়ে কান পরিষ্কার করেন অনেকেই। কানে বেশি খোঁচাখুঁচি করলে তার প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। কানের পর্দা ফুটো হয়ে যেতে পারে। শরীরের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুদায়িত্ব পালন করে কান। কাজেই, কানের অন্দরমহল ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার গুরুতর প্রভাব পড়বে শরীরেও।
এই সমস্য এড়াতে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া ভাল। দুধ, পনির, ডিম, বিভিন্ন রকম মাছ খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি ও ফল রাখুন রোজকার ডায়েটে।
মাম্পস, হাম, টাইফয়েডের মতো রোগ হলে, তার পরে কানের সমস্যা হতে পারে। কানে সংক্রমণ হলে, জল জমে থাকলে অথবা ভিতরে পুঁজ জমলেও কম শোনার সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
নিজেকে সুস্থ সবল রাখতে যোগায় ভরসা রাখতে পারেন। মার্জারাসন, বালাসন, পশ্চিমোত্তনাসন বেশ কার্যকরী। তবে এই সব আসন করার আগে ঠিক মতো করে তা শেখা প্রয়োজন। তাই প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন।
অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান বা অন্য কোনও নেশা করাও কিন্তু প্রভাব ফেলতে পারে আপনার শ্রবণ শক্তির উপরে। তাই আপনিও যদি নিয়মিত মদ্যপান বা ধূমপান করেন তবে তা কমিয়ে ফেলুন, পারলে ছেরে দিন। তাতে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
যাঁদের নিয়মিত উচ্চ স্বরের মধ্যে কাজ করতে হয় যেমন কারখানায় গেলে বা যাঁরা নাইট ক্লাবে কাজ করেন, তাঁরা ফোম ইয়ারপ্লাগ কানে লাগিয়ে রাখতে পারেন। নোংরা জলে স্নান করলেও কানে সংক্রমণ হতে পারে। কানে যখন-তখন তালা লেগে গেলে বা ঝিঁ ঝিঁ শব্দ হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।