
রোজ যেমন ত্বক, চুলের পরিচর্চা করেন, তেমনই যত্ন নিতে হয় যোনি এলাকার। ভ্যাজাইনা পরিষ্কার না রাখলে এখান থেকেই নারীদেহে একাধিক রোগ উৎপত্তি হতে পারে। ঋতুস্রাবের দিনগুলোর পাশাপাশি রোজ নিয়ম করে ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করতে হবে।

ছোট থেকেই মেয়েদের মধ্যে ভ্যাজাইনা পরিষ্কারের সু-অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। তার সঙ্গে বোঝানো দরকার যে, কোন উপায়ে ভ্যাজাইনার যত্ন তা ভাল থাকে। প্রতিদিন অন্তর্বাস পরিবর্তন করা জরুরি।

ভ্যাজাইনা প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে এখান থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এমনকী হতে পারে ক্যানসার। ভ্যাজাইনার পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে, এমন উপায়ে যোনিদেশের যত্ন নেওয়া জরুরি।

যদিও বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের ইন্টিমেট ওয়াশ পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলো কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। কারণ সুগন্ধি ব্যবহার করলে বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকি। বাজারচলতি ইন্টিমেট ওয়াশ এড়িয়ে, ঘরোয়া উপায়ে ভ্যাজাইনার যত্ন নিন।

ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করতে কখনওই গরম জল ব্যবহার করবেন না। এতে যোনিদেশে থাকা ইস্ট ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং চুলকানি হবে। সবসময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করে যোনিদেশে পরিষ্কার করুন।

যোনিদেশে পরিষ্কার করতে লেবু পাতা ব্যবহার করুন। লেবু পাতার মধ্যে লিমোনেন নামের একটি যৌগ রয়েছে, যার মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এক গ্লাস জলে লেবুর পাতা ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এই জল ঠান্ডা হলে তারপর সেটা দিয়ে ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করুন।

অ্যালোভেরার পাতা থেকে তাজা জেল বের করে নিন। এটা জলের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি দিয়ে ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করে নিন। যাঁরা ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা এই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।

রোজের ডায়েটে টকদই রাখলে যোনিদেশের স্বাস্থ্য ভাল রাখা যায়। এমনকী ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করতেও আপনি দই ব্যবহার করতে পারেন। এতে যোনিদেশের দুর্গন্ধও সহজেই এড়ানো যায়।