Esophageal Cancer: গলায় ব্যথা, ঢোক গিলতে অসুবিধা? ঠান্ডা লেগেছে না ক্যানসারের লক্ষণ, বুঝবেন কীভাবে?
Esophageal Cancer: ভারতে প্রায় ৩২ রকম ক্যানসারে আক্রান্ত হয় মানুষ। তার মধ্যে অন্যতম হল খাদ্যনালীর ক্যানসার বা ইসোফিগাল ক্যানসার। পরিসংখ্যান বলছে প্রত্যেক বছর ভারতে এই রোগে ৪৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হন এবং ৪২ হাজার মানুষ মারা যান।
যত দিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে দুরারোগ্য ক্যানসার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে প্রতিদিন দেশে নতুন করে বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যাও।
২০১৯ সালে ভারতে প্রায় ১২ লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিল। এবং তার মধ্যে ৯.৩ লাখ ক্যানসার আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি সেই বছর ক্যানসারে মৃতের সংখ্যায় এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারত। ভারতে প্রায় ৩২ রকম ক্যানসারে আক্রান্ত হয় মানুষ। তার মধ্যে অন্যতম হল খাদ্যনালীর ক্যানসার বা ইসোফিগাল ক্যানসার। পরিসংখ্যান বলছে প্রত্যেক বছর ভারতে এই রোগে ৪৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হন এবং ৪২ হাজার মানুষ মারা যান।
এখনই অবধি প্রতিনিয়ত এই রোগের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই জারি আছে। ক্যানসার রোগের মধ্যেও আবার বিরল এবং ভয়াবহ হল খাদ্যনালীর ক্যানসার। সাধারণত মুখ, গলা এবং খাদ্যনালীতে হওয়া ফুয়েল টিউমার পরবর্তিতে এই ক্যানসারে রূপান্তরিত হয়। খুব একটা আগে থেকে বোঝার উপায় না থাকলেও সাধারন কিছু উপসর্গ আছে যা দেখলে কিন্তু সতর্ক হওয়া উচিত।
এই রোগের প্রাথমিক পর্যায় শক্ত খাবার গিলতে অসুবিধা হয়। পরবর্তীতে তরল খাবার খেতে এমনকি, ঢোঁক গিলতেও কষ্ট হতে পারে। ঠান্ডা লাগলেও গলাব্যথা হয়। তাই অনেকে এই উপসর্গ এড়িয়ে যান। তবে কোনও কারণ ছাড়াই এই উপসর্গ কিন্তু ভাল লক্ষণ নয়।
এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে হজমের সমস্যা হয়। বুকে জ্বালাভাব, বার বার ঢেকুর ওঠা, পেটে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। হঠাৎ করে ওজন কমে যেতে পারে। যে কোনও ধরনের খাবারে অনীহা এই রোগের লক্ষণ।
দীর্ঘ দিন ধরে কাশি এই রোগের লক্ষণ। রাতে ঘুমের সময়ে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, গলা ও বুকের মাঝখানে চিনচিনে ব্যথা, বিশেষ করে খাবার গিলতে গেলে কষ্ট হলে সাবধান। শীঘ্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বমি বমি ভাব, ক্লান্তিবোধ, দুর্বলতা, খাওয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসাও এই রোগের লক্ষণ। একটানা কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়ার সমস্যাতেও ভুগতে পারেন এই ধরনের ক্যানসারের ফলে। এমনকি গলার স্বরেও বদল আসতে পারে।
এখনও অবধি ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য কোনও পরীক্ষিত এবং সফল প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে কিছু অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভাল। যেমন ধরুন ধূমপান, মদ্যপান, বা নিয়মিত তামাক সেবন। দিনে দিনে মোটা হয়ে চলা, বা ওবেসিটি রোগ ক্যানসারের কারণ হতে পারে। অত্যধিক গরম চা, কফি খাওয়াও ভাল নয়।