
রাতে ঘুম না হলে, সারাদিন শরীরে ক্লান্ত হয়ে থাকে। শরীরে ঝিমুনি দেখা যায়। এক-আধ দিন এই সমস্যা থাকলে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। কিন্তু দিনের পর দিন রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলেই বিপদ।

রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে জাঁকিয়ে বসে একাধিক রোগ। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও ডিপ্রেশনের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরকে সুস্থ রাখতে গেলে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।

রাতে যদি ঘুম ধরতে সমস্যা হয়, ঘনঘন ঘুম ভেঙে যায় কিংবা ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হয়, তাহলে সচেতন হওয়া দরকার। ঘুমের মান উন্নত করতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। পাশাপাশি ঘুমনোর আগে এই ৫ পানীয়ের যে কোনও একটি পান করতে পারেন।

আয়ুর্বেদের অশ্বগন্ধার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। রাতে ঘুমনোর আগে অশ্বগন্ধার চা পান করুন। এটি স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে এবং দেহে আরামদায়ক প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে এই পানীয়। গরম জলে ১/২ চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।

আয়ুর্বেদে ঘিয়ের রমারম সেই আদ্যিকাল থেকে। ঘুমের মান উন্নত করেও ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম জলে ঘি মিশিয়ে পান করুন। এটি মস্তিষ্ককে শান্ত করতে এবং ঘুমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

কেশর ও এলাচ মেশানো দুধ পান করুন। আয়ুর্বেদের মতে, এই পানীয় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। গরম দুধে এক চিমটে কেশর ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই পানীয় পান করতে পারেন।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন। হলুদ মেশানো দুধ পুষ্টিতে ভরপুর হয়। এর মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ ঘুমের মান উন্নত করার পাশাপাশি একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

গরম দুধে হলুদে পাশাপাশি জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়েও পান করতে পারেন। গরম দুধে এক চিমটে হলুদ ও জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এতে আপনার শারীরিক প্রদাহ কমবে এবং দেহে আরামদায়ক প্রভাবও পাবেন।

ঘুমের সমস্যা দূর করতে সহায়ক ক্যামোমাইলের চা। ক্যামোমাইলের চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি আপনার চোখে পাতায় দ্রুত ঘুম এনে দেয় এবং ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করে।