
ধীরে-ধীরে কমছে পারদ। শীত কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। এই শীতের আমেজ আরও জমবে কড়াইশুটির কচুরি, কমলালেবু আর নলেন গুড়ে। কিন্তু মেদও জমছে পেট, কোমরে, সেটা কি খেয়াল আছে?

শীতকালীন সবজি ও ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর। এগুলো খেয়ে সহজেই ইমিউনিটি বৃদ্ধি করা যায় এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু শীতকালে ওজন কমাতে গেলে তাজা শাকসবজি বা ফলই যথেষ্ট নয়। শরীরকে হাইড্রেট রাখার জরুরি।

শীতকালে অনেকের মধ্যে জল খাওয়ার প্রবণতা কম দেখা যায়। শরীর হাইড্রেট না থাকলে ওজন কমানো কঠিন। তাই এমন ৫ গরম পানীয়ের সন্ধান রইল, যা ওজন কমাবে এবং শরীরকে উষ্ণ রাখবে। পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনও হবে না।

এক গ্লাস গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয়তে ভিটামিন সি রয়েছে, যা মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগের ঝুঁকি কমাতে।

গরম দারুচিনির চা পান করতে পারেন। দারুচিনির চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাও কমিয়ে দেয়। গরম জলে দারুচিনির গুঁড়ো বা কাঠি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এতে মধু মিশিয়ে পান করুন।

শীতের রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম হলদি-দুধ পান করুন। গরম দুধে এক চিমটে হলুদ ও গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। স্বাদের জন্য মধু মেশাতে পারেন। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে।

ওজন কমানোর দুনিয়ায় গ্রিন টি-এর বিকল্প খুব কম রয়েছে। শীত হোক বা গ্রীষ্ম, দিনে তিন-চার কাপ গ্রিন টি পান করলে মেদ গলতে বাধ্য। গ্রিন টিয়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যাটেচিন রয়েছে, যা মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ওজন কমানোর পাশাপাশি শীতের দিনে শরীরকে গরম ও রোগমুক্ত রাখাও জরুরি। আর এক্ষেত্রে কাজে আসবে আদা চা। গরম জলে আদা থেঁতো করে ফেলে দিন। ওই জল ফুটে উঠলে ছেঁকে নিন এবং মধু মিশিয়ে পান করুন। এই চা হজমে সাহায্য করবে এবং ওজন কমাবে।