
ইউরিক অ্যাসিড খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে গাউটের সমস্যা দেখা দেয়। গোড়ালি, পায়ের বুড়ো আঙুল ফুলে যায়। মারাত্মক ব্যথা হয়। অনেক সময় ইউরিক অ্যাসিডের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনিও।

পিউরিন নামক রাসায়নিকের ভাঙনের মাধ্যমে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। কিন্তু প্রস্রাবের মাধ্যমে আপনি ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু যখন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, তখনই সমস্যা বাড়ে।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে অনেকেই টমেটো, মুসুর ডাল, ঢেঁড়শ বাদ দিয়ে দেন। খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রেখে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে বশে রাখা যায়। তার সঙ্গে আপনি বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক ভেষজের সাহায্য নিতে পারেন ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি হলুদের সাহায্য নিতে পারেন। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে খাবারে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।

আর্থ্রাইটিস রিসার্চ অ্যান্ড থেরাপিতে ২০১৯ সালের একটি প্রাণী গবেষণা অনুসারে, হলুদ বাতের ব্যথা, জয়েন্টে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে হলুদ মেশানো দুধ পান করতে পারেন।

গাউটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আপনি আদা খেতে পারেন। আদা দিয়ে চা পান করলে আপনি বাতের ব্যথা, জয়েন্টের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

আয়ুর্বেদে গিলয়কে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি গিলয়ের রস পান করতে পারেন। কিংবা গিলয়ের গুঁড়ো গরম জলে মিশিয়ে পান করতে পারেন।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করুন। এই কিশমিশ হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে। ১০-১৫টি কালো কিশমিশ সারারাত ধরে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই জল পান করুন।