
ক্যাভিটি যে কেবল বয়স্কদের হবে তার কোনও মানে নেই। যে কোনও বয়সে হানা দিতে পারে এই সমস্যা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দাঁতের মধ্যে তৈরি হওয়া গর্ত। মুখের ব্যাকটেরিয়া চিনি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটে বেড়ে ওঠে এবং অ্যাসিড তৈরি করে। যা দাঁতের বাইরের শক্ত স্তর যা এনামেল নামে পরিচিত তাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই এই সমস্যার সঙ্গে লড়ছেন। ক্যাভিটি অনেক কারণে হতে পারে। দাঁতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, মুখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া বা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও সমস্যা। দীর্ঘ সময় ধরে দাঁতে ক্যাভিটি হলে তা দাঁতের ক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, দাঁতে ব্যথা শুরু হলে আমরা ছুটি দাঁতের ডাক্তারের কাছে। একবার গেলেই খরচা অনেক। বিশেষ করে যদি দাঁত তুলতে বা রুট ক্যানাল করতে হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এক ঝটকায় অনেকগুলি টাকার ধাক্কা। তবে এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা ব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকর। কী কী সেই টোটকা?

দাঁতের ব্যথা উপশমে দারুণ কার্যকরী রসুন। এর ঔষধি গুণাবলীর জন্য আয়ুর্বেদে এর কদর বেশ ভাল। রসুনের সবচেয়ে সুপরিচিত উপাদানগুলির মধ্যে একটি হল অ্যালিসিন, যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দাঁতের ব্যথার জন্য দায়ী কিছু জীবাণু ধ্বংস করতে বেশ কার্যকর এই রসুন। কাটা রসুনে থাকে অ্যালিসিন যা ব্যথা কমায় চট করে।

যদি তাজা রসুন না থাকে, তাহলে দাঁতের ব্যথা উপশমের জন্য রসুনের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। তবে রসুনের গুঁড়োতে অ্যালিসিনের পরিমাণ কম। তাই ব্যথা উপশমে খুব কার্যকরী নয়।

দাঁতের ব্যথা কমাতে আরেকটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান হল লবঙ্গ। এই মশলাটি কম বেশি প্রায় সকলের রান্নাঘরেই থাকে। ফলে হাতের কাছে পেতেও সুবিধা হয়। লবঙ্গ গুঁড়ো করে, চিবিয়ে, কুঁচি করে বা কেটে নিলেই হল।

রসুন কীভাবে ব্যবহার করবেন? ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতের খোসা ছাড়ানো রসুনের কোয়া আলতো করে চিবিয়ে নিন। এতে অ্যালিসিন তৈরি হবে, যা আপনার ব্যথার কারণ হতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। তাতে লবঙ্গ যোগ করুন। একটা পেস্ট তৈরি করে নিন।

ওই পেস্ট চামচের পিছনের অংশ দিয়ে বা আঙুলের ডগা দিয়ে ক্যাভিটির উপর লাগিয়ে রাখুন। ১ ঘন্টা ওই ভাবে রেখে দিন। টানা ১ সপ্তাহ এটি করে দেখুন ভাল ফল পাবেন।