
অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলই আপনার শরীরে এমন রোগ ডেকে আনে, যার কল্পনাও আপনি করতে পারেন না। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ঘুমের চক্র সবকিছু প্রভাব ফেলে স্বাস্থ্যের উপর। এমনই একটি রোগ হল ফ্যাটি লিভার।

অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চায় অনীহা, অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার মতো বদভ্যাসই ডেকে আনছে কম বয়সিদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। সময় থাকতে সাবধান না হলে, এখান থেকেই লিভার সিরোসিস বা লিভারের ফেলিয়রের সমস্যা দেখা দেয়।

ফ্যাটি লিভার হল এমন একটি সমস্যা যেখানে লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে শুরু করে এবং লিভারের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলে। এমনকী ধীরে ধীরে এটিকে ফাইব্রয়েড লিভারে পরিণত করতে পারে।

অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের জন্যও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। যাকে বলে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। আবার মদ্যপান না করেও আপনার লিভারে ফ্যাট জমতে পারে। যা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ নামে পরিচিত।

ফ্যাটি লিভার থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও শরীরচর্চাই একমাত্র সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে চিনি, তেলে ভাজাভুজি খাবার, জাঙ্ক ফুড একদম এড়িয়ে চলুন।

লিভারের ফ্যাট দূর করতে দারুণ কার্যকর আদা ও মেথির চা। এই চা লিভারে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। লিভারে কোনও রকম মেদ জমতে দেয় না এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যাকে দূরে রাখে।

১ গ্লাস জল গরম বসান। এতে ১ ইঞ্চি আদার কুচি, ১/২ চা চামচ মেথির দানা, ১ ইঞ্চি কাঁচা হলুদের কুচি ও ৩-৪টে পুদিনা পাতা ফেলে দিন। এবার এই মিশ্রণটা ভাল করে ফুটিয়ে নিন। তারপর এই চা ছেঁকে নিয়ে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

মেথির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলিক যৌগ লিভারের খেয়াল রাখে। আদার মধ্যে থাকা জিঞ্জেরল লিভারের প্রদাহ কমায়। এবং হলুদের মধ্যে থাকা এনজাইম লিভারের জমে থাকা চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।