
থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বিপাকীয় হারের উপর প্রভাব ফেলে। তাই হাইপোথাইরয়েডিজ়মে আক্রান্ত হলে ওজন বেড়ে যায়। আর হাইপারথাইরয়েডিজ়মে ওজন কমতে থাকে।

থাইরয়েড দেহের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে, যা খাবারকে শক্তি রূপান্তরিত করে। তাই হাইপোথাইরয়েডিজ়মে আক্রান্ত হলে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। ওজন কমাতে কালঘাম ছুটে যায়।

থাইরয়েডে আক্রান্ত হলে রোজ ওষুধ খেতেই হয়। এতে থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণ ও কার্যকারিতা সচল থাকে। কিন্তু ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে আপনাকে কয়েকটি উপায় মেনে চলতে হবে। সেগুলো কী-কী দেখে নিন।

সকালবেলা খালি পেটে থাইরয়েডের ওষুধ মাস্ট। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পর ব্রেকফাস্ট স্কিপ করার ভুল করবেন না। এতে ওজন আরও বেড়ে যাবে। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। একসঙ্গে বেশি খাবার না খেলেও অল্প অল্প করে খান।

থাইরয়েডে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে যে খুব বেশি সচেতন থাকতে হয়, এমন নয়। কিন্তু কিছু খাবার যদি ডায়েট থেকে বাদ দেন, আপনারই ভাল। ফাস্ট ফুড, চিনিযুক্ত খাবারে রাশ টানুন। এগুলো আপনাকে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

সোডাযুক্ত পানীয়তে চিনি ও ক্যালোরি দুটোই থাকে। তাই গরমে গলা ভেজাতে একদম কোল্ড ড্রিংক্স খাবেন না। এতে ওজন বাড়বে। থাইরয়েডের পাশাপাশি আরও অন্য রোগও জাঁকিয়ে বসতে পারে।

থাইরয়েডের রোগীদের শরীরচর্চা করা জরুরি। এতে ওজন কমানো সহজ হয়। পাশাপাশি বিপাকীয় হার ঠিক থাকে। কায়িক পরিশ্রম করলেও উপকার পাবেন।

ঘুমের অভাবে ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়ে। আর থাইরয়েডে ওজন বাড়তে শুরু করলে তাকে কমানোও মুখের কথা নয়। তাই দিনে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।