হাই হিল পরা বর্তমানে একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। হাই হিল পরে নিজেকে ক্যারি করাটা মোটে সহজ কাজ করা নয়। তার জন্য রীতিমত অভ্যাসের প্রয়োজন। তবে হিল পরলেও কেবল পায়ের কষ্ট হয় এমনটা নয়, পায়ের উপরে নানা প্রভাব ফেলে। আবার এর প্রভাব কেবল পায়ের উপরেই থেমে নেই।
আপনি কি জানেন, হিল পরা আপনার মনকেও প্রভাবিত করতে পারে? নতুন একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে হাই হিল কেবল শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, উঁচু হিলের জুতো পরা মহিলাদের হাঁটার গতি কমিয়ে দিতে পারে, ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং হাঁটু ও মেরুদণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
উঁচু হিল পরলে নারীরা আরও আকর্ষণীয় দেখায়। এটি তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে, যা ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো 'ভালো লাগা' হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। আবার অনেকের মতে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে এক সময়ে পতিতাদের মধ্যেও হিল পরার চল ছিল।
উঁচু হিল পরলে নারীরা আরও আকর্ষণীয় দেখায়। এটি তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে, যা ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো 'ভালো লাগা' হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। আবার অনেকের মতে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে এক সময়ে পতিতাদের মধ্যেও হিল পরার চল ছিল।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব মহিলারা প্রতিদিন উঁচু হিলের জুতো পরেন, তাঁরা নিয়মিত ফ্ল্যাট জুতো যাঁরা পরেন তাঁদের তুলনায় ৩ গুণ বেশি মানসিক চাপ এবং পিঠের ব্যথায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরের কোথাও ক্রমাগত ব্যথা অনুভব হলে মস্তিষ্ক কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসরণ করে। যা মেজাজের পরিবর্তন, বিরক্তি এবং উদ্বেগ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
অনেক ফ্যাশন এবং সেলফ ইমেজ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, হাই হিল পরলে শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের ছাপ পড়ে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব মহিলারা উঁচু হিল পরেন তাঁদের আত্মবিশ্বাসী, আকর্ষণীয় এবং প্রভাবশালী বলেও মনে করা হয়। তাঁদের পায়ের উপর সাধারণত বেশি চাপ পড়ে। ফলে তা পা থেকে মেরুদণ্ড পর্যন্ত ব্যথার কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন আমরা আমাদের পছন্দের কোনও পোষাক পরি, তখন আমাদের মস্তিষ্ক এটিকে 'ইতিবাচক উদ্দীপনা' হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ডোপামিন নিঃসরণ করে, যা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কিন্তু যদি হাই হিল পরার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে অস্বস্তি হয়, তাহলে তা মনের মধ্যে নেতিবাচক সংকেত পাঠাতে শুরু করে যা ক্লান্তি, চাপ এবং খারাপ মেজাজের কারণও হতে পারে।
তবে হিল পরেও ভাল থাকা সম্ভব। তার জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা ভাল। সঠিক হিল বেছে নিতে, সর্বদা চওড়া এবং ছোট হিল পরুন, যা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে উপযোগী। হিল পরার সময় সীমিত করুন। সারাদিন হাই হিল পরার পরিবর্তে শুধুমাত্র বিশেষ অনুষ্ঠানে হাই হিল পরুন। এছাড়াও, যদি ঘন ঘন হিল পরতে হয়, তাহলে পায়ের ব্যায়াম করুন। এতে সমস্যা অনেকটা এড়ানো যেতে পারে।