
বিয়ে বাড়ির মরশুমে লাগামহীন খাওয়া-দাওয়ায় বাড়ছে ওজন। বিয়ে বাড়ি না থাকলেও সন্ধে হলেই যে পাড়ার মোড়ে এগরোল-চাউমিনের দোকানে, লাইন দেন, এতেও কিন্তু আপনার পেটে মেদ জমছে।

ডায়েট ও শরীরচর্চা সঠিকভাবে করলে তবেই ওজন কমানো যায়। কিন্তু সেটা করার পরও অনেকে দেখেন খুব বেশি হলে ২-১ কেজি কমেছে। এমন হলে মন খারাপ করবেন না। বরং শুকনো ফল ও বাদাম খান।

শরীরের জন্য দারুণ উপকারী ড্রাই ফ্রুটস। শরীরকে পুষ্টি জোগানো থেকে শুরু করে ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ড্রাই ফ্রুটস। তার সঙ্গে নিয়ম করে ড্রাই ফ্রুটস খেলে আপনার ওজনও কমবে।

প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আমন্ড। যাকে এক কথায় বলে সুপারফুড। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ফাইবার থাকায় আমন্ড খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এছাড়া আমন্ডের অ্যামিনো অ্যাসিড দেহের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।

ওজন কমানোর জন্য কাজু খেতে পারেন। কাজুর মধ্যে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ পেটকে ভর্তি রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাকে রোধ করে। এছাড়াও এই বাদামে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

অ্যানাস্যাচুরেটেড ফ্যাট ওজন কমায়, যা মিলবে আখরোটের মধ্যে। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে না, যার ফলে মেদও জমবে না শরীরে। এছাড়াও আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ওজন কমানোর পাশাপাশি নানা উপায়ে স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে।

দেহের বিপাকীয় হার ভাল হলে ওজন কমানো সহজ হয়। আর এই কাজটা দক্ষতার সঙ্গে করে পেস্তা। পেস্তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মিষ্টি বলে হয়তো অনেকেই কিশমিশ থেকে দূরে থাকতে চান। কিন্তু রোজ সকালে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে, এর উপকারিতা আপনি গুণে শেষ করতে পারবেন না। এতে হজম স্বাস্থ্য উন্নত হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।