
কেউ দিনে একবার চা খান, আবার কেউ দিনে ৪-৫ কাপ কফি খেয়ে ফেলেন। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে চা-কফি খাওয়া কখনওই ভাল নয়। এতে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দিনে ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা উচিত নয়। ১৫০ এমএল কাপের কফিতে ৮০-১২০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইনস্ট্যান্ট কফিতে ৫০-৬৫ এবং চায়ে ৩০-৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন রয়েছে।

দিনে ৩-৪ কাপের বেশি চা-কফি না খাওয়াই ভাল। এতে একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। নাহলেই বাড়বে অনিদ্রা, বদহজমের সমস্যা। কিন্তু কোন সময়ে চা-কফি খাবেন না, জানেন?

অত্যধিক পরিমাণে চা-কফি খাওয়া ভাল নয়, একইভাবে ভুল সময়ে চা-কফি খেলেও বিপদ হতে পারে। হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি পুষ্টি শোষণেও বাধা তৈরি হতে পারে।

অনেকেই দিন শুরুই করেন চা-কফি খেয়ে। খালি পেটে চা-কফি খাওয়া একদম উচিত নয়। এতে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়ে এবং আপনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

ভারী খাবারের সঙ্গে চা-কফি একদম নয়। ক্যাফেইন অন্য খাবার থেকে পুষ্টি শোষণে বাধা তৈরি করে। তাই ভারী খাবারের সঙ্গে চা-কফি খেলে শরীরেরই ক্ষতি হবে।

সারাদিনে ৩-৪ কাপের বেশি চা-কফি খাওয়া চলবে না। একইভাবে, বিকাল ৪টের পর চা-কফিতে চুমুক দেবেন না। ঘুমোতের যাওয়ার অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে শেষবার চা-কফি খাবেন। এতে ঘুমের সমস্যা এড়াতে পারবেন।

স্ন্যাকস বা ভারী খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর চা-কফি খান। কিন্তু খালি পেটে চা-কফি খাবেন না। চেষ্টা করুন চিনি, ফুল ফ্যাট দুধ ছাড়া চা-কফি খাওয়ার। এতে বেশি উপকার পাবেন।