ডায়াবেটিস থাকলে খাওয়া-দাওয়ায় নানা বিধিনিষেধ থাকে। কী খাবেন, কতটা খাবেন আর কখন খাবেন—সবই নিয়মে বাধা থাকে। এদিক থেকে ওদিক হলেই বিপদ।
ডায়াবেটিসে চিনিযুক্ত কোনও খাবার চলে না। অথচ, কোল্ড ড্রিংক্সে ভরপুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই এই ধরনের প্রক্রিয়াজাত পানীয় সুগারের রোগীদের একদম চলে না।
গরমে গলা ভেজানো জন্য জল রয়েছে। তবে, মাঝেমধ্যে বিভিন্ন স্বাদের পানীয় খাওয়ারও ইচ্ছে যায়। ডায়াবেটিসের রোগীদের এমন পানীয় বেছে নিতে হবে, যা স্বাদ মেটানোর পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
ডায়াবেটিসের রোগীরা লেমনেড খেতে পারেন। কিন্তু এই পানীয়তে চিনি মেশালে চলবে না। লেমনেডে গুড় মেশাতে পারেন। আর পুষ্টিগুণ বাড়াতে চিয়া সিড মেশাতে পারেন।
গ্রিন টি, পেপারমিন্ট টি, লেমন টি, আদা দিয়ে চা, ক্যামোমাইলের চা, দারুচিনির চা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপযোগী। এসব চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রোজ সকালে করলার রস খেতে পারেন ডায়াবেটিসের রোগীরা। এক গ্লাস করলার রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
করলার রসের পরিবর্তে আপনি শসা-ব্রকোলির রস, বিট-গাজরের রস, লাউয়ের জুস, পালং শাকের জুসও খেতে পারেন। এই ধরনের সবজির রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় থাকে।
ডায়াবেটিসের রোগীরা আপেল ও কমলালেবুর রস খেতে পারেন। এই ধরনের ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে উপযোগী।