
গরম রুটি কিংবা ভাতে একটু ঘি ছড়িয়ে খেতে বেশ লাগে। গরম ভাত, ঘি আর একটু লেবুর কোনও তুলনা নেই। আবার পরোটা বা রুটি যদি ঘি দিয়ে সেঁকা হয় তাহলেও খেতে বেশ ভাল লাগে। এছাড়াও বিভিন্ন মিষ্টি, চিঁড়ের পোলাও বা ঘিয়ে ভাজা লুচি খেতেও দারুণ লাগে।

মোদ্দা কথা যে খাবারে একটু ঘি এর ছেঁয়া লাগে সেই খাবারেরই স্বাদ বদলে যায়। আগেকার দিনে তেল নয়, ঘি দিয়েই খাবার তৈরি করে খেত মানুষ। আয়ুর্বেদেও ঘি-এর একাধিক উপকারিতার কথা বলা হয়েছে।

ঘি শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। আর ঘি এর মধ্যে থাকে ভাল ফ্যাট। যে কারণে ঘি খেলেও ওজন কিছুতেই বাড়ে না। ঘি এর মধ্যে থাকে বুট্রিক অ্যাসিড। যা যে কোনও রকম প্রদাহ জনিত সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি দেয়। এমনকী ফোলা, পোড়া ভাব কমাতেও সাহায্য করে ঘি।

ঘি-এর মধ্যে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা প্রদাহের সমস্যা কমায়। সেই সঙ্গে জয়েন্টের টিস্যুগুলিতে লুব্রিকেন্ট হিসেবেও কাজ করে। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেও এই ঘি-এর কোনও তুলনা নেই।

ঘি-এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আর তাই সুস্থ থাকতে রোজ একটু করে ঘি খান। ঘি খুব সামান্য নিয়ে গরম জলের সঙ্গে খেতে পারেন। এর মধ্যে যে বিউটরিক অ্যাসিড থাকে তা হজমে সাহায্য করে।

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও একটু করে ঘি খেতে পারেন। এতে অন্ত্রের, পেটের ফোলা ভাব কমে যায় অনেকটাই। অন্ত্রের দেওয়ালে পুষ্টিও যোগায় এই ঘি। গরম ভাতে একটু ঘি, লেবু আর ডাল দিয়ে রোজ খেতে পারেন।

ঘি-ওজন কমাতে সাহায্য করে। আবার ত্বক, চুল এসব ভাল রাখতেও ভূমিকা রয়েছে ঘি এর। তাই বলে মেপে ঘি খাবেন। খুব বেশি একেবারেই চলবে না। এর সঙ্গে যদি কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা থাকে তাহলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাবেন।

সব কিছুরই একটা খারাপ দিক থাকে। তাই অতিরিক্ত ঘি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে হজমের সমস্যা হয়। ওজন বাড়ে সেই সঙ্গে অন্য স্বাস্থ্য সমস্যাও ঐসতে পারে। খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।