
পায়েস হোক বা পোলাও, কিশমিশ মেশালে স্বাদ বেড়ে যায় খাবারের। কিন্তু এই কিশমিশ খাওয়ার এটা সঠিক উপায় নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশ জলে ভিজিয়ে খাওয়া উচিত। তবেই, মেলে এর পুষ্টিগুণ।

কিশমিশের মধ্যে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবারের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। কিশমিশের পুষ্টি তখনই পাবেন, যখন এটি সারারাত ধরে জলে ভিজিয়ে রাখবেন। শীতকালে ভেজানো কিশমিশ খেলে বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যায়।

শীতকালে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুব সাধারণ। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন সকালে জলে ভেজানো কিশমিশ খান, পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে খুব সহজেই। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।

শীত এলেই জাঁকিয়ে বসে বাতের ব্যথা, জয়েন্টের যন্ত্রণা। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জলে ভেজানো কিশমিশ খাওয়া দরকার। কিশমিশের মধ্যে ক্যালশিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে। তাছাড়া জলে ভেজানো কিশমিশ খেলে অস্টিওপোরসিসের ঝুঁকিও কমে।

শীতের সকালে কম্বল ছেড়ে উঠতে বা কোনও কাজ করতে গেলেই ল্যাদ চলে আসে। কিন্তু ভেজানো কিশমিশ খেলে কাজ করার এনার্জি পাবেন। কিশমিশের মধ্যে ফ্রুটকোজ ও গ্লুকোজ রয়েছে, যা শরীরে এনার্জির জোগান দেয়।

শীতকালে রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই ভেজানো কিশমিশ খান। রোজ ভেজানো কিশমিশ খেলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। কিশমিশে ভিটামিন বি এবং সি রয়েছে, যা ইমিউনিটি গঠনে সাহায্য করে।

লিভারে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে রোজ সকালে জলে ভেজানো কিশমিশ খান। শীতের সকালে এটি খেলে শরীরে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। এতে রোগের ঝুঁকি কমবে এবং আপনি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।

মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। অনেক সময় এই রোগ প্রাণও কেড়ে নেয়। কিন্তু ভেজানো কিশমিশ খেলে এই ভয় নেই। কিশমিশের মধ্যে আয়রন রয়েছে, যা রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমায়।