
জ্যাম-জট পেরিয়ে অফিস যাওয়ার যন্ত্রণাটা যে কী তা নিত্যযাত্রী মানেই বোঝেন। অফিস থেকে বেরোলেই হাজারো খাবারের হাতছানি।

ফুচকা, চাউমিন, মোমো, রোল, পিৎজা, ঝালমুড়ি কত খাবার। এর মধ্যে টকঝাল ফুচকা যে প্রাণাধিক প্রিয় সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

বর্ষায় ফুচকা খাওয়া ঠিক নয় তা সকলেই জানেন। এদিকে ওই ঝাল ফুচকার লোভ এড়িয়ে যাওয়াটাও খুব চাপের। তবে রোজ ফুচকা, চুড়মুড় খেলে আখেরে ক্ষতি হবে আপনারই।

এই সময়ে এমনিতেই পানীয় জলের কোনও ঠিক ঠিকানা থাকে না। তাই চিকিৎসকেরা এই সময়টায় বাইরের জল খেতে মানা করেন। পারলে চাও এড়িয়ে চলুন।

এই বর্ষায় জল সহজে দূছিত হয়েযায়। আর ফুচকার টকজল থেকে পেটে সংক্রমণ, ডায়েরিয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বাড়ে বর্ষাতে। তাই ফুচকা এড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ।

ফুচকা খাবেন আর আলু খাবেন না এরকমটা করা খুবই চাপের। যদিও অনেকে শুধু মটর সেদ্ধ, পেঁয়াজ আর লঙ্রা কুচি দিয়ে ফুচকা খান স্বাস্থ্যের কারণে।

আলু দেওয়া ফুচকা বেশি খেলে সুগার বাড়বেই। তবে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলে মাসে এক থেকে দুইবার অনায়াসে ফুচকা খেতে পারেন। এতে তেমন একটা সমস্যার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।

ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলেও রোজ ফুচকা খাবেন না। এতে রক্তচাপ বাড়বে চুপিসাড়ে। সেই সঙ্গে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। চাপ পড়ে অন্ত্রের উপরেও।