
বছর বদলালেও প্রেশারের ওষুধ বন্ধ হয় না। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের সবসময়ের সঙ্গী প্রেশারের ওষুধ। কিন্তু ওষুধ যথেষ্ট নয়। লাইফস্টাইলও জরুরি।

মূলত, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, শরীরচর্চায় অনীহা, ধূমপান, মদ্যপানের মতো কারণগুলোই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। আর প্রেশারের সঙ্গে হাত ধরে আসে হৃদরোগের সম্ভাবনাও।

শীতকালে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই বছর বদলানোর সঙ্গে জীবনধারার আরও বেশি জোর দেওয়া জরুরি। ঠান্ডায় গরম ও আরামদায়ক পোশাক পরার পাশাপাশি আর কী-কী করবেন, রইল টিপস।

ঠান্ডা আবহাওয়ায় রক্তনালিগুলো সঙ্কুচিত হয়ে যায়, যা রক্ত প্রবাহে বাধা তৈরি করে। এতে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই মরশুমে সতর্ক না থাকলে যে কোনও সময় আপনি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন।

শীতেও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন। শরীরচর্চার প্রতি অনীহা দেখালে চলবে না। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে হাঁটাহাঁটি করুন, নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। এতে রক্তচাপ বশে থাকবে এবং হার্টের অবস্থাও ভাল থাকবে।

ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু সম্পূর্ণরূপে ফ্যাট বাদ দিলে চলবে না। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। আমন্ড, আখরোট, অলিভ অয়েল, মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন।

খাবারের পাতে নুনের পরিমাণ কমান। তার সঙ্গে চিপস, ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়িয়ে চলুন। উচ্চ সোডিয়াম যুক্ত ও ক্যালোরি যুক্ত খাবার রক্তচাপের সমস্যা বাড়াতে পারে। পাশাপাশি কোলেস্টেরল লেভেল বাড়তে পারে এমন খাবারও এড়িয়ে চলুন।

শীতকালে প্রায় দিন মন খারাপ থাকে? হতাশা ঘিরে ধরে? এটা সিজনাল এফেক্টিভ ডিসঅর্ডারের লক্ষণ। সময়ের সঙ্গে এটা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত মানসিক চাপ রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিন।