
পাক সরকারের সরাসরি মদত, চিনের অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স পাহাড়ায়। তবু কী করে পাকিস্তানের ১৩টি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিভুর্ল ভাবে ধ্বংস করল ভারত? যার মধ্যে আবার ৮টিই বিমানঘাঁটি। তুরস্ক, চিন সবার থেকে ধার নেওয়া অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অ্যাটাক করেও শেষে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেল পাকিস্তান। ৯ এবং ১০ মে মধ্য রাতে ভারতের সামরিক এবং বেসামরিক এলাকায় যে সাঙ্ঘাতিক ড্রোন এবং মিসাইল হামলা ভারত চালিয়েছিল তাই বা কেন ক্ষতি করতে পারল না ভারতের? উত্তর একটাই। এই সবের নেপথ্যে ভারতের দুর্ভেদ্য আত্মরক্ষার প্রাচীর — 'আকাশতির'।

আকাশতিরের বজ্র কঠিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই সেই দিন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানের সব ড্রোন এবং মিসাইলকে। ভারতের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করতে পারেনি মাইক্রো UAV এবং লোইটারিং মিউনিশনও। তার দাপটে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। কী এই আকাশতির?

আকাশতির সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আত্মনির্ভর ভারতের শক্তির প্রতীকও বটে। আকাশতিরের তুলনায় পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেন ফুটো মস্তান। ভারতের পাঠানো HQ-9 ও HQ-16 কেও সনাক্ত এবং বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

আকাশতির একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা বাস্তব সময়ে অনুপ্রবেশকারী ক্ষেপণাস্ত্র বা আগ্নেয় অস্ত্রকে বাধা দিতে এবং ড্রোন যুদ্ধ পরিচালনা করতে সক্ষম। কোনও বিমানের রিয়েলটাইম ছবি নিমেষে পাঠিয়ে দিতে পারে কন্ট্রোল রুম, রাডার, থেকে কর্তৃপক্ষকে। যার ফলে প্রতিরক্ষা অপারেশন সোজা হয়। আকাশতির শত্রু বিমান, ড্রোন থেকে মিসাইলকে সনাক্ত করে, তাকে ট্র্যাক করে নিজেই ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।

আকাশতির বিভিন্ন রাডার সিস্টেম, সেন্সর ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে একটি অপারেশনাল ফ্রেমওয়ার্কে একত্রিত করে। এটি একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, প্রসেসিং করে। তাৎক্ষণিক স্বয়ংক্রিয় ভাবে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আকাশতির C4ISR (Command, Control, Communications, Computers, Intelligence, Surveillance and Reconnaissance) কাঠামোর অংশ এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করে।

আকাশতিরের কৃতিত্ব এর শক্তিতে নয়, বরং বুদ্ধিদীপ্ত প্রযুক্তিতে নিহিত। প্রচলিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মূলত স্থল-ভিত্তিক রাডার, মানুষ-নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ও কমান্ড চেইন দ্বারা চালিত মিসাইল ব্যাটারির উপর নির্ভর করে। সেখানে আকাশতির এই ধারা ভেঙে দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের নিচু স্তরের আকাশে নজরদারি ও গ্রাউন্ড বেসড এয়ার ডিফেন্স অস্ত্রের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে।

প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভারতকে পারমাণবিক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা যাবে না। প্রয়োজনে আমরা শত্রু ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদের শিকড় উপড়ে ফেলে প্রতিশোধ নেব। আকাশতিরের উপস্থিতি আমাদের সামরিক শক্তিতে আত্মবিশ্বাস যোগায়।

বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে আকাশতিরের ক্ষমতা বহুল প্রশংসিত হয়েছে। আকশতির ভারতকে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ও ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ক্ষমতা সম্পন্ন এলিট দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

রয়েছে Tactical Control Radar REPORTER, 3D Tactical Control Radars, Low-Level Lightweight Radar এবং আকাশ অস্ত্র ব্যবস্থার নিজস্ব রাডারের মতো একাধিক দুর্ধর্ষ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। যা শত্রুপূর্ণ এলাকাতেও খুব সহজে পরিচালনার করা যায়। সহজে বন্ধু এবং শত্রু বিমানের পার্থক্য বুঝে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া, মাটির প্রকৃতি, রাডার ইন্টারসেপ্ট এই সব বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে আকাশতির। যা মিশনের সাফল্যের হারকে বাড়িয়ে দেয় প্রায় কয়েকগুণ। আকাশতির সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ছবি সরবরাহ করে। ফলে আকাশতির যে সেনাবাহিনীর দুর্ভেদ্য প্রাচীর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।