Travel Tips in Holi 2025: খরচ নামমাত্র দোলের ছুটিতে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছেই এই সব অফবিট জায়গায়
Travel Tips in Holi 2025: রাতে থাকার জন্য রয়েছে সরকারি লজ। মাছ ধরতে ভালবাসলে, রয়েছে সেই ব্যবস্থাও। সাইট সিনের জন্য রয়েছে উলুঘাটা সুইস গেট, গড়চুমুক মিনি জু।
দু'দিন বাদেই দোল। তারপরের দিন আবার হোলি। শুক্র, শনি-রবি, ৩ দিনের লম্বা উইকেন্ড। রং নিয়ে মাতামাতি পছন্দ না হলে এই তিন দিন বরং সেরে নিতে পারেন ঝটিকা সফর। একেই বসন্তকাল, চারপাশে মৃদু-মন্দ হাওয়া বইছে, যাকে বলে প্রেম করার একদম আদর্শ পরিবেশ। প্রেমিকা হোক বা স্ত্রী, কিংবা পরিবার, টুক বেড়িয়ে পরলেই হল। রইল একদম কম খরচে দু'দিন ঘুরে আসার ঠিকানা।
৫৮ গেট - নদী ভালবাসেন? তাহলে এই জায়গা আপনার জন্য। গঙ্গা টপকালেই হাওড়া জেলা। সেখানেই রয়েছে ৫৮ গেট। উত্তর পশ্চিম থেকে দামোদর নদ এসে এখানে মেশে ভাগীরথী নদীতে। নিরিবিলিতে দু-এক দিন কাটাতে চাইলে এই ঠিকানা সেরা। নদীর উপর ভেসে বেড়াচ্ছে ছোট বড় নৌকা, পণ্যবাহী জাহাজ। নদীর লাগোয়া খোলা মাঠ। এখানে এলে মন ভাল হতে বাধ্য।
রাতে থাকার জন্য রয়েছে সরকারি লজ। মাছ ধরতে ভালবাসলে, রয়েছে সেই ব্যবস্থাও। সাইট সিনের জন্য রয়েছে উলুঘাটা সুইস গেট, গড়চুমুক মিনি জু। যদি ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে দোল পূর্ণিমার রাতে প্রেমিকার সঙ্গে হতে পারে নৌকা ভ্রমণ। দুই নদীর সঙ্গমে চাঁদের আলোয় প্রেয়সীর সঙ্গে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর চেয়ে বেশি রোম্যান্টিক কী বা হতে পারে বলুন তো?
কী ভাবে যাবেন - হাওড়া থেকে উলুবেরিয়া হয়ে শ্যামপুর রোড। গাদিয়াড়া যাবার মাঝ পথেই পড়বে ৫৮ গেট।
সুতানের জঙ্গল - শিমুল-পলাশের খোঁজে বসন্তে পুরুলিয়ায় বারবার ছুটে যান পর্যটকরা। তাই সেখানে ভিড় প্রচুর। তবে পলাশের আগুন রঙে এই বসন্তকে রাঙিয়ে তুলতে চাইলে বরং ঘুরে আসতে পারেন বাঁকুড়ার সুতানের জঙ্গল থেকে। বারো মাইল জঙ্গলের এক দিকে ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ির জঙ্গল। অন্য দিকে পুরুলিয়ার কুইলাপালের জঙ্গল।
গোটা বসন্তে এই জঙ্গল এক অদ্ভুত রূপ ধারণ করে গোটা এলাকা। শিমুল-পলাশের রঙে নতুন বউয়ের মতো রাঙা হয়ে ওঠে। দুই জঙ্গলের মাঝে রয়েছে সুতান গ্রাম। সেই এলাকাকেই বলে সুতানের জঙ্গল।
কী ভাবে যাবেন - কলকাতা থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন। আবার ট্রেনে করে বিষ্ণুপুর নেমে সেখান থেকেও গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন সুতানের জঙ্গল।
বার্মিক - পাহাড় ভালবাসেন? নিউ জলপাইগুঁড়ি অবধি টিকিট কেটে রেখেছেন আগেই। কিন্তু কোথায় যাবন এখনও ঠিক করতে পারেননি? তাহলে বরং চট করে ঘুরে আসুন বার্মিক থেকে।
পাইন গাছের ঘন বনে ঘেরা উত্তরবঙ্গের গ্রাম। নিরিবিলিতে বসে তিস্তা নদীর গর্জন এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার শ্বেতশুভ্র সৌন্দর্য, দুই-ই এখান থেকে উপভোগ করার মতো। বার্মিক থেকেই ঘুরে আসা যায় রামধুরা, ইচ্ছেগাঁওয়ের মতো গ্রাম থেকেও।
কী ভাবে যাবেন - নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ৬১ কিমি দূরে অবস্থিত এই গ্রাম। সেখান থেকে অথবা তিস্তা বাজার থেকে গাড়ি বুক করে নিলে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন বার্মিকে।