
আজ মহাশিবরাত্রি। গোটা পৃথিবী জুড়ে পূজিত হবেন দেবাদিদেব মহাদেব। শুধুমাত্র ভারতেই হাজার হাজার ছোট-বড় শিব মন্দির রয়েছে। এর মধ্যে শিব পুরাণে উল্লেখ করা হয়েছে ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের। যার মধ্যে গুজরাটের সোমনাথ মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশের মল্লিকার্জুনা স্বামী মন্দির, মধ্যপ্রদেশের মহাকালেশ্বর, ওমকারেশ্বর, উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ, উত্তরপ্রদেশের কাশী বিশ্বনাথ উল্লেখযোগ্য।

২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬ কোটি টাকা। এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে অনুদান, টিকিট বিক্রি সহ একাধিক জায়গা থেকে ১০৫ কোটি টাকা আয় করেছে এই মন্দির।

মধ্যপ্রদেশের মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরের সম্পত্তির পরিমাণ হিসাব করা হয় ৮৫০ কোটি টাকা। শুধুমাত্র ২০২৪ সালে অনুদান হিসাবে ১৬৫ কোটি টাকা আয় করেছে ওই মন্দির।

গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের কাছে রয়েছে ১৩০ কেজি সোনা, ১,৭০০ একর জমি। সম্পত্তির অর্থমূল্য হতে পারে ১৫০ থেকে ৪৫৬ কোটি টাকার মধ্যে। এ ছাড়াও ২০২২-এর হিসাব বলছে বাৎসরিক ৫০ কোটি টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আয় করে ওই মন্দির।

তামিলনাড়ুর শ্রীআরুলমিগু রামানাথাস্বামী মন্দিরের কাছে রয়েছে প্রায় ১৫ একর জমি।

ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরের কাছে রয়েছে ১,৫২৪ একর জমি। যার অর্থমূল্য প্রায় ৭৬২ কোটি টাকা।

তালিকায় রয়েছে নেপালের পশুপতিনাথ মন্দির। সেই মন্দিরের প্রায় ৯ কেজি ২৭৬ গ্রাম সোনা, প্রায় ৩১৬ কেজি রুপো ও ১৮৬ হেক্টর জমি রয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ১২৬ থেকে ২৪১ কোটি টাকার মধ্যে। এ ছাড়াও তাদের কাছে ১৩০ কোটি টাকা ক্যাশে রয়েছে।

কিন্তু দেশের এত শিবমন্দির। এই সব মন্দিরের সম্পত্তি আসলে ট্রাস্টের অধীনে হলেও সেগুলোকে মহাদেবের সম্পত্তি বলে ধরাই যায়। তবে সব শিব মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ হিসাব করে বের করা একেবারেই অসম্ভব। তবে কয়েকটি বড় বড় শিব মন্দিরের সম্পত্তির মোট পরিমাণ যে কয়েক হাজার কোটিকে অনায়াসেই ছাড়িয়ে যাবে, তা বলাই যায়।