Anant Chaturdashi 2023: রাজার হালে গোটা জীবন কাটাতে গণেশ বিসর্জনের সময় এই ছোট্ট কাজ করলেই হবে কেল্লাফতে!
Lord Vishnu: শুধু গণেশ নয়, অনন্ত চতুর্দশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয়। এদিনে শ্রীহরির শাশ্বত রূপের পুজো করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। অনন্ত চতুর্দশীতে উপবাস ও পুজো করলে অনন্ত ফল পাওয়া যায় হাতে নাতে।

হিন্দু ধর্ম মতে, গণেশ উত্সবের ঠিক ১০দিন পর অর্থাত্ অনন্ত চতুর্দশী উৎসবের দশম দিন পর, অনন্ত চতুর্দশীর দিনে গণপতি বাপ্পাকে বিদায় দেওয়ার রীতি রয়েছে। এদিন বিশেষ আচার মেনে গণেশ মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয়। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ মতে, এ বছর অনন্ত চতুর্দশী পালিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বরে। শুধু গণেশ নয়, অনন্ত চতুর্দশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয়। এদিনে শ্রীহরির শাশ্বত রূপের পুজো করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। অনন্ত চতুর্দশীতে উপবাস ও পুজো করলে অনন্ত ফল পাওয়া যায় হাতে নাতে। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, পাণ্ডবরা যেসময় গোটা রাজ্য হারিয়েছিলেন, সেইসময় শ্রীকৃষ্ণ অনন্ত চতুর্দশীতে উপবাস করতে বলেছিলেন তাদের। শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শে পাণ্ডবরা উপবাস পালন করেছিলেন। সেই জেরে পরবর্তীকালে গোটা রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। হিন্দুদের বিশ্বাস করা হয়, অনন্ত চতুর্দশীতে উপবাস করলে সমস্ত দুঃখ দূর হয় ও সুখ-শান্তি বজায় থাকে।
পুজো মুহুর্ত
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, অনন্ত চতুর্দশী অর্থাৎ ভাদ্রপদ শুক্ল চতুর্দশী তিথি ২৭ সেপ্টেম্বর, রাত ১০টা ১৮মিনিটে শুরু হবে ও ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যে ৬টা ৯ মিনিটে সমাপ্ত হবে। অনন্ত চতুর্দশীতে শ্রীহরির আরাধনার শুভ ও সেরা সময় সকাল ৬টা ১২ মিনিট থেকে৬টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত।
অসীম ফল পেতে ও গৃহে সুখ-শান্তি বজায় পেতে এই কাজগুলি করুন
যদি জীবনে অপরিসীম সুখ, সম্পদ ও সৌভাগ্য পেতে চান, তাহলে অনন্ত চতুর্দশী উপবাস পালনের পাশাপাশি, পুজোর পরে অবশ্যই অনন্ত চতুর্দশীর ব্রতপাঠ ও কাহিনি শোনা উচিত। কিংবদন্তি অনুসারে, প্রাচীনকালে সুমন্ত নামে এক ব্রাহ্মণের দুই কন্যা ছিল। তারা হলেন দীক্ষা ও সুশীলা। সুশীলা বিয়ের সুযোগ্য হয়ে উঠলে সেই সময় মায়ের মৃত্যু হয়। সুমন্ত তার কন্যা সুশীলাকে ঋষি কৌণ্ডিন্যের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বিয়ের পর কৌন্ডিন্য সঙ্গে সুশীলা আশ্রমের দিকে যাওয়ার সময় একটি জায়গায় থেমে অনন্ত চতুর্দশী উপবাস পালন করেছিলেন। সেইসঙ্গে বেশ কয়েকজন মহিলা একসঙ্গে উপবাস পালন করেছিলেন। ব্রত পালনের পর সকলে ১৪টি গিঁট দেওয়া অনন্ত সুতো বেঁধেছিলেন। পরে কৌন্ডিন্য ঋষির কাছে ফিরে এলে তিনি রেগে গিয়ে সেই সুতো খুলে ফেলে আগুনে পুড়িয়ে দেন।
