
আর কয়েকদিন পরেই পালিত হবে বহু প্রতীক্ষিত রঙের উত্সব। তার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা দেখা যায় মথুরা, বানারস, বৃন্দাবনে। সেখানকার হোলির উত্সব অন্য মাত্রায় পালিত হয়। যা সারা বিশ্ববিখ্যাত। উত্তর প্রদেশের এই জনপ্রিয় জায়গাগুলির মন্দিরগুলি পর্যন্ত রঙ ও আবিরে সিক্ত হয়ে ওঠে। শিশু থেকে প্রবীণ, নারী থেকে পুরুষ, সব ধরণের মানুষ এই রঙিন উত্সবে মেতে ওঠেন। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এবার হোলি উৎসব পালিত হবে ২৫ মার্চ সোমবার। রাধাকৃষ্ণের স্থানে না যেতে পারলেও বাড়ির গোপালঠাকুরকে কখনও এদিন থেকে বঞ্চিত করবেন না। গোপালের গায়ে এদিন কোন রঙের রাঙিয়ে তুলবেন, কোন রঙ বাডির গোপালঠাকুরের জন্য সেরা ও শুভ, তা জেনে নিন এখানে…
কথিত আছে, হোলির উৎসব ছোটবেলা থেকেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় ছিল। গোপী ও ব্রজবাসীদের সঙ্গে হোলি উৎসবে আবির ও জলরঙ নিয়ে খেলতে পছন্দ করতেন। এদিনের রঙ খেলা খুব প্রিয়। এই কারণেই দোলের দিনে লাড্ডু গোপালের গায়ে আবির নিবেদন করা হয়। এদিন শ্রীকৃষ্ণের পছন্দের রঙ ব্যবহার করাই উচিত।
দোলের দিন লাড্ডু গোপালের গায়ে কোন রঙ লাগাতে হবে?
হোলির দিন লাড্ডু গোপালের গায়ে হলুদ লাগিয়ে উৎসব পালন করতে পারেন। আসলে শ্রীকৃষ্ণকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় রীতি মেনে যাঁরা হলুদ রঙের বসন পরেন, তাঁদের পীতাম্বরও বলা হয়। তাই গোপালঠাকুরের গায়ে হলুদ রং লাগিয়ে তাঁর আশীর্বাদ পেতে পারেন।
হোলিতে, আপনি লাড্ডু গোপালে লাল, সবুজ ও গোলাপী রঙও লাগাতে পারেন। এই রঙের আবির লাগানো শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে কৃষ্ণকে এই তিনটি রঙের সুগন্ধি আবির অর্পণ করলে বাড়ির সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তাই হোলির দিনে এ সব রঙ লাড্ডু গোপালকে নিবেদন করা উচিত। এই কয়েকটি রঙের আবির নিবেদন করলে জীবন সুখী হয় ও সব ধরনের সমস্যাও দূর হয়।