AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Astrology for Sneeze: একবার হাঁচি অশুভ, কিন্তু দু’বার হাঁচলে শুভ! শকুন শাস্ত্র কী বলছে?

Shakun Shastra: বার বার জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন, তাহলে এখনই বাড়ির বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে অবিলম্বে বাস্তুর যত্ন নিন। এছাড়া, হারানো জিনিস খুঁজে পেতে গিয়ে যদি কেউ হাঁচি দেয়, তাহলে সেই বস্তুটি খুঁজে পেতে আরও সহজ হয়ে যায়।

Astrology for Sneeze: একবার হাঁচি অশুভ, কিন্তু দু'বার হাঁচলে শুভ! শকুন শাস্ত্র কী বলছে?
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2023 | 3:56 PM
Share

বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে, যাত্রা শুরুতেই যদি হাঁচির শব্দ শোনা যায়, তাহলে তা অত্যন্ত অশুভ। শুধু যাত্রা শুরুতেই নয়, নতুন ব্যবসা শুরু করার সময় , এমনকি জিনিস কেনার সময় হাঁচি অশুভ ইঙ্গিত দেয়। তবে শুধু একবার হাঁচি নয়, হাঁচির সংখ্যা নিয়েও রয়েছে কুসংস্কার। কোনও কাজে বা যাত্রায় দুবার হাঁচি দিলে তা শুভ। শকুনশাস্ত্রে হাঁচির ধারণা নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্যগত দিক থেকে হাঁচি হল একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। কোনও রোগের পূর্বাভাস দেয় হাঁচি।

শরীরের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া বের করার জন্য হাঁচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শকুনশাস্ত্র অনুসারে, হারানো জিনিস খুঁজে পেতে গিয়ে যদি কেউ হাঁচি দেয়, তাহলে সেই বস্তুটি খুঁজে পেতে আরও সহজ হয়ে যায়। এমনকি ওষুধ খাওয়ার সময় হাঁচি নাকি খুব শুভ। তাতে দ্রুত অসুখের বিনাস হয় বলে মনে করা হয়।

বিড়ালের হাঁচি অশুভ বলে মনে করা হয়, গরুর হাঁচি কষ্টের ইঙ্গিত দেয়। ঠান্ডা, অ্যালার্জি না থাকলে, গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাওয়ার সময় নিজের হাঁচিকে অশুভ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ঘরের উষ্ণতা, পূজা, আচার-অনুষ্ঠানের শুরুতে হাঁচি দিলে বা হাঁচির শব্দ শুনলে তাও অশুভ মনে করা উচিত।

প্রাচীন গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, হাঁটার সময় সামনে হাঁচি মারাত্মক। অনেকের ধারণা, হাঁটতে হাঁটতে সামনে থেকে কেউ হাঁচি দিলে মারামারি পর্যন্ত হতে পারে। কারওর কারওর মতে, কারওর সামনে হাঁচি দিলে ধনসম্পদ ধীরে ধীরে শেষ হতে শুরু করে। সমাজে নিন্দার ঝড় সামালতে হতে পারে। আত্মসম্মান নষ্ট হতে পারে কিংবা যে কোনও ব্যক্তিকে অসম্মানের অংশ করে তোলা হয়। পিঠের পিছনে হাঁচি ও বাম দিকে হাঁচি আবার শুভ ফল দেয়। এর ফলে ধন-সম্পদ, সৌভাগ্য প্রভৃতি অর্জিত হতে পারে। প্রতিপত্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

একসঙ্গে অনেকগুলো হাঁচি হলে যদিও কোন ফল হয় না। কিন্তু অনেকের মতে, যদি একাধিক হাঁচির শব্দ হয়, তাহলে শুভ লক্ষণ। দুই হাঁচি একসঙ্গে দিলে শুভ ফল পাওয়া যায়। আবার কোথায় বলা হয়েছে, ‘এক নাকে দুই হাঁচি, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ কোনও কাজে চলাফেরা করার সময় হাঁচি দিলে কাজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চেষ্টা করেও যদি হাঁচি বন্ধ না হয়, তাহলে যে কাজে যাচ্ছে তাতে ব্যাঘাত ঘটতে বাধ্য। বেশিরভাগ কাজেই হাঁচিকে অশুভ মনে করা হয়। তবে শাস্ত্র মতে, হাঁচি বিবাহ, শিক্ষা দীক্ষা, দান, ওষুধ গ্রহণ, খাওয়া, বসা ও ঘুমনোর জন্য শুভ লক্ষণ।

সর্দি-কাশির কারণে হাঁচি, ভয় বা হাসির কারণে হাঁচি, বৃদ্ধ বা শিশুর হাঁচি ও জেদের কারণে হাঁচি অনেক সময় ব্যর্থ হয়। রোগের কারণে হাঁচির কোনও ফল হয় না বা নাকে ধুলাবালির কণা পড়লে, সেই হাঁচি অশুভ বলে মনে করা হয়। অনেক সময় কোনও কারণ ছাড়াই হাঁচি হয়, তা অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয়ে থাকে।

হাঁচি দেওয়ার পর কিছুক্ষণ থামার পর বা কেউ হাঁচি দিলে ভগবান নারায়ণকে স্মরণ করলে কাজের কাজ পেতে শুরু করে। বাইরে যাওয়ার সময় হাঁচি দিলে, ফিরে এসে কিছুক্ষণ বসে, জল পান করে ঈশ্বরকে স্মরণ করে বের হয়ে যেতে পারেন। হাঁচির অশুভ ফলাফলের শান্তির জন্য হাঁচির পর “ওম শান্তি” উচ্চারণ করতে পারেন।