Eid al-Adha 2022: বকরি ঈদ কেন পালন করা হয়? এর গুরুত্ব জানুন

Bakrid 2022: ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায়, ঈদুল আযহা জ্বিলহজ্জের ১০ তারিখে পড়ে। আন্তর্জাতিক (গ্রেগরীয়) পঞ্জিকায় তারিখ প্রতি বছর ভিন্ন হয়, সাধারণত এক বছর থেকে আরেক বছর ১০ বা ১১ দিন করে কমতে থাকে।

Eid al-Adha 2022: বকরি ঈদ কেন পালন করা হয়? এর গুরুত্ব জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2022 | 7:00 AM

আজ সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বকরি ঈদ। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম উৎসব। এই ঈদের আরেক নাম হল কোরবানি ঈদ বা ঈদ-আল-আধা। বিভিন্ন জায়গায় এই ঈদের বিভিন্ন রকম নাম। মুসলিমরা সাধারণত দু’ধরনের ঈদ পালন করেন, ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-আল-আধা। মুসলিম সম্প্রদায়ের দু’টি সর্ববৃহৎ উৎসবের মধ্যে এটি অন্যতম। দু’টি ঈদ-ই শুরু হয় নতুন চাঁদ দর্শন করে। আকাশে নতুন চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এই উত্‍সবে মেতে ওঠেন। এদিন ছোটো-বড় নির্বিশেষে সবাই নতুন জামা পরে খোলা জায়গায় একসঙ্গে নামাজ পড়ে। তারপর সবাই সবাইকে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়।

বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই উৎসব পালিত হয়। এই ঈদ কোরবানির ঈদ বলে এই উৎসবে আল্লাহ-কে কিছু না কিছু উৎসর্গ বা কোরবান করতে হয়। কোরবানির জন্য বকরি বা ছাগল ব্যবহারের কারণেই এই ঈদের আরেক নাম হয় বকরি ঈদ। অন্যদিকে, আরবি ‘বকরা ‘ শব্দের অর্থ গাভী বা গরু। আর এই কারণে, গরুকে বলি দেওয়ার মধ্যে দিয়েও পালন করা হয় বকরি ঈদ। হিজরি ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ ও শেষ মাস ধুল হিজার দশম দিনে পালিত হয় ঈদ-আল-আধা। কথিত আছে, হজরত ইব্রাহিম আল্লাহ-র স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী নিজের ছেলেকে আল্লাহ-র কাছে কোরবানি বা উৎসর্গ করতে গিয়েছিলেন। তখন স্বয়ং আল্লাহ তাঁকে দেখা দিয়ে একটি ভেড়া তাঁর হাতে তুলে দেন এবং বলেন যে ছেলের বদলে এই ভেড়াটাকে কোরবানি হিসেবে উৎসর্গ করতে। তারপর থেকেই এই উৎসবের আগে থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ভেড়া, ছাগল, উট কিনে তাকে যত্ন সহকারে পালন করে বকরি ঈদের দিনে আল্লাহ-র নামে উৎসর্গ করেন।

ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায়, ঈদুল আযহা জ্বিলহজ্জের ১০ তারিখে পড়ে। আন্তর্জাতিক (গ্রেগরীয়) পঞ্জিকায় তারিখ প্রতি বছর ভিন্ন হয়, সাধারণত এক বছর থেকে আরেক বছর ১০ বা ১১ দিন করে কমতে থাকে। ঈদের তারিখ স্থানীয়ভাবে জ্বিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। এ বছর ১০ জুলাই মাসে ,পালিত হবে কোরবানি ঈদ বা ঈদ-আল-আধা।

ঈদের দিন শুরু হয় ঈদের নামাজের জন্য স্নান করে এবং নতুন কাপড় পরিধান করেন। সকল মুসলিম ছেলেদের জন্য এই ঈদের দুই রাকাত নামাজ আদায় করা ওয়াজিব এবং মহিলাদের জন্য এই নামাজ সুন্নৎ। বাঙালী মুসলমানরা নমাজের পরে পুরো পরিবার একত্রে সকাল বেলা মিষ্টিজাতীয় খাদ্য দিয়ে খাবার খান । সকালের এই নাস্তাতে থাকে নানান ধরনের মিষ্টান্ন। নাস্তা খাবার শেষে মুসলমান পুরুষেরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে কোরবানির প্রস্তুতি নিতে থাকে। কোরবানী শেষে কোরবানীর প্রথানুযায়ী কোরবানীর মাংশ গরীব, আত্নীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। এ দিনে প্রত্যেক মুসলমান অন্যদের বাড়িতে বেড়াতে যায় আনন্দ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। বাঙ্গালী মুসলিম সমাজে এ উৎসবটি কেবল মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনা, অন্যান্য ধর্মাম্বলীরাও অংশগ্রহণ করে উদ্‌যাপনে।