Kaal Sarp Dosh: জন্মকুণ্ডলীতে কাল সর্প দোষ রয়েছে, বুঝবেন কীভাবে? শুধু অশুভ নয়, রয়েছে অনেক উপকারিতাও
Benefits and Symptoms: কালসর্প দোষের কারণে একজন ব্যক্তিকে জীবনে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিত্রাণ পাওয়া খুবই জরুরি। কাল সর্প দোষের প্রভাব কমানোর জন্য রয়েছে বেশ কিছু সহজ উপায়, তা জেনে নিন...

জ্যোতিষশাস্ত্রে কাল সর্প দোষকে খুবই অশুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে,যার কুণ্ডলীতে কাল সর্প দোষ থাকে, তাকে জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কুণ্ডলীতে কাল সর্প দোষের কারণে ব্যক্তি সামগ্রিকভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কালসর্প দোষকে সম্পূর্ণ আচারের সঙ্গে পুজো করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই কালসর্প দোষ কী, পূজা পদ্ধতি জেনে নেওয়া উচিত। কালসর্প দোষ শুধু দোষের নয়, উপকারীও বটে। কুন্ডলী দোষ থাকলে কী কী লক্ষণে বুঝবেন যে আপনি কাল সর্প দোষের শিকার হয়েছেন, তা জেনে নিন এখানে…
কালসর্প দোষের লক্ষণ
১) যে ব্যক্তির কুণ্ডলীতে কাল সর্প দোষ রয়েছে, তিনি প্রায়ই স্বপ্নে মৃত মানুষ দেখেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ সাপ জড়িয়ে শ্বাসরোধ হতেও দেখেন।
২) যার জীবনে কাল সর্প দোষ রয়েছে, তাদের জীবনে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। প্রয়োজনের সময় সেই ব্যক্তি একা একাই লড়াই করেন।
৩) কালসর্পে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবসায় অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে ব্যবসায় বারবার লোকসানের মুখে পড়তে হয়।
৪) এছাড়া ঘুমের মধ্যে সাপকে শরীরে হামাগুড়ি দিতে দেখা, নিজেকে সাপ কামড়াতে দেখেন।
৫) স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিটি বিষয়ে বিবাদ তৈরি হয়। যদি রাতে বারবার জেগে ওঠেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি কাল সর্প দোষে দুষ্ট।
৬) কাল সর্প দোষে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বপ্নে বারবার ঝগড়া করতে দেখেন।
৭) কাল সর্প দোষের কারণে একজন ব্যক্তি মানসিক ও শারীরিকভাবে ভোগেন। এর সঙ্গে মাথাব্যথা, চর্মরোগ ইত্যাদিও কালসর্প দোষের লক্ষণ।
কখন জন্মকুণ্ডলীতে কাল সর্প দোষ গঠিত হয়?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যখন সমস্ত গ্রহ রাহু ও কেতুর মধ্যে একজন ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে আসে, তখন কাল সর্প দোষ নামে একটি যোগ তৈরি হয়।
প্রতিকার
কালসর্প দোষের কারণে একজন ব্যক্তিকে জীবনে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিত্রাণ পাওয়া খুবই জরুরি। কাল সর্প দোষের প্রভাব কমানোর জন্য রয়েছে বেশ কিছু সহজ উপায়, তা জেনে নিন…
১) কাল সর্প দোষে আক্রান্ত ব্যক্তির উচিত বাড়ির পুজোর ঘরে বা মন্দিরে গিয়ে প্রতিদিন শিবলিঙ্গে অভিষেক করা।
২) প্রদোষ তিথির দিন শিব মন্দিরে রুদ্রাভিষেক করলেও উপকার পাওয়া যায়।
৩) এর পাশাপাশি সেই ব্যক্তির প্রতিদিন পারিবারিক দেবতার পুজো করা উচিত।
৪) মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রটি প্রতিদিন কমপক্ষে ১০৮ বার জপ করা উচিত।
৫) এর পাশাপাশি প্রতিদিন ১১ বার হনুমান চালিসা পাঠ করা দরকার।
৬) কালসর্পে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখা উচিত।
উপকারিতা
১) যদি কোনও ব্যক্তি কালসর্প দোষ নিবারণের জন্য পূজা করেন তাহলে সেই ব্যক্তি জীবনে অনেক স্বস্তি পান।
২) কাল সর্প দোষ পূজার পর বিবাহিত জীবনে প্রেম নেমে আসে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুখের ও শান্তির পরিবেশ বিরাজ করে।
৩) সামাজিক প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। সম্মান বাড়ে সবস্তরে।
৪) শুধু তাই নয়, পরিবারেও শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে।
৫) ব্যবসায় নেমে আসা সব বিপদ ও সমস্যার অবসান হয়। পসার বাড়তে থাকে ব্যবসার।
৬) পদ মর্যাদা পান,পদে পদে উন্নতি হয়।
৭) আর্থিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পান সহজেই।
