Ganesh Chaturthi: বাড়িতেই সিদ্ধিবিনায়কের পুজো করছেন? ভাগ্য ফেরাতে কোন গণেশ মন্ত্র জপ করবেন, জানুন
করোনা অতিমারির সময় বাড়িতেই গণেশ আরাধনায় মেতে উঠুন। গণেশ চতুর্থীর দিন ভগবান গণেশের আরাধনা করার সময় গণেশ মন্ত্রগুলি জপবেন কীভাবে, আরতি মন্ত্রই বা কী, তা জেনে নিন এখানে...
করোনা কালে বাড়িতেই গণেশ উত্সব পালন করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের মাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাওয়া উত্সব নিয়ে মাতামাতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিত্সকরা। তাই বাড়িতেই গণেশ পুজোর সব আয়োজন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যে কোনও পুজো করার আগে সবার প্রথমে গনেশ পুজো দিয়ে সূচনা করা হয়। হিন্দু পুরাণে যে সকল দেব দেবীর উল্লেখ করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ভগবান গণেশ হল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
হিন্দুদের মতে, গনেশ ভগবান গণেশ অন্যতম শ্রদ্ধেয় দেবতা। হিন্দুরা পূজা করার আগে বা নতুন সূচনা করার আগে তাঁকে শ্রদ্ধা জানায়। তাই তাকে প্রথম পূজানিয়া বলা হয় (যার অর্থ প্রথম পূজা করা হয়)। ভগবান গণেশ, যিনি বিনায়ক, গণপতি, বিঘ্নেশ্বর, সুখদাতা এবং আরও বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত, তিনি হলে মহাদিদেব শিব এবং দেবী পার্বতীর কনিষ্ঠ পুত্র।
করোনা অতিমারির সময় বাড়িতেই গণেশ আরাধনায় মেতে উঠুন। গণেশ চতুর্থীর দিন ভগবান গণেশের আরাধনা করার সময় গণেশ মন্ত্রগুলি জপবেন কীভাবে, আরতি মন্ত্রই বা কী, তা জেনে নিন এখানে…
গণেশ প্রণাম
‘ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ’
বা
‘ওঁ গাং গণেশায় নমঃ ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ’
বা
”ওঁ গাং গণেশায় নমঃ গণেশ পূজা মন্ত্র একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম। বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।”
-এর অর্থ হল যিনি খর্বাকৃতি, স্থূলশরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন অথচ সুন্দর, নিঃসৃত মুখমণ্ডল থেকে গন্ধে প্রলুব্ধ ভ্রমরসমূহের দ্বারা যাঁহার গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া তাহার দন্ত দ্বারা নিজ দেহে সিন্দুরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।
ধর্মীয় মতে এই মন্ত্রটি দিনে কম করে ১০৮ বার পাঠ করলে ভাগ্য ফিরে আসতে পারে। বদলে যাবে জীবন। যারা এই সময় খুব দুঃখের মধ্যে আছেন, তাঁরা আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে দিন। কে বলতে পারে হয়তো সুখের দিন আর কয়েকদিনের মধ্যেই দরজায় কড়া নাড়বে।
ধ্যান মন্ত্র –
”ওঁ খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং প্রস্যন্দম্মদগন্ধলুব্ধ মধুপব্যালোলগন্ডস্থলম্ । দন্তাঘাত বিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দুরশোভাকরং , বন্দেশৈল সুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্ ।। .”
গণেশ বন্দনা
”বন্দ দেব গজানন বিঘ্ন বিনাশন। নমঃ প্রভু মহাকায় মহেশ নন্দন।। সর্ববিঘ্ন নাশ হয় তোমার শরণে। অগ্রেতে তোমার পূজা করিনু যতনে।। নমো নমো লম্বোদর নমঃ গণপতি। মাতা যার আদ্যাশক্তি দেবী ভগবতী।। সর্বদেব গণনায় অগ্রে যার স্থান। বিধি-বিষ্ণু মহেশ্বর আর দেবগণ।। ত্রিনয়নী তারার বন্দিনু শ্রীচরণ। বেদমাতা সরস্বতীর লইনু শরণ।।”
প্রণাম মন্ত্র
একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম। বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।
“যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।”
আরও পড়ুন: ভাগ্য ফেরাতে বাড়ির কোন কোন জায়গায় গণেশমূর্তি রাখবেন, রইল কিছু বাস্তু টিপস