কাল সর্প দোষ (Kaal Sarp Dosh) দূর করার জন্য কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর উত্সব (Janmashtami 2022) খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে কাল সর্প দোষ দূর করতে কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রের (Astrology) প্রতিকার করা হয়। শাস্ত্র অনুসারে, শ্রীকৃ্ষ্ণের (Lord Krishna) কুন্ডলীতেও কাল সর্প দোষ ছিল। তাই কৃষ্ণের উপাসনা করলে এই দোষ দূর করার ব্যবস্থা রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাহু ও কেতু যখন একটি রাশিতে একদিকে থাকে ও অন্যান্য সমস্ত গ্রহ অন্যদিকে থাকে, তখন কাল সর্প দোষ তৈরি হয়। কাল সর্প দোষে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কীভাবে কৃষ্ণের আরাধনা করে কুন্ডলী থেকে দোষ কাটাবেন, তা জানুন…
কাল সর্প দোষ দূর করার উপায়
শ্রীকৃষ্ণের কুন্ডলীতেও ছিল কাল সর্প দোষ। তাই তাকে জেলে জন্ম নিতে হয়েছিল। জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই তার পিচামাতার কাছ থেকে দূরে চলে যেতে হয়েছিল। এমন অশুভ প্রভাব দূর করতে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মুকুটে ময়ূরের পালক পরতেন। তাই জন্মাষ্টমীর সময় গোপালঠাকুরের পুজোর সময় ময়ূরের পালক নিবেদন করা হয়। সেই পালক যদি মানিব্যাগে রাখা হয়, তাহলে কাল সর্প দোষের অশুভ প্রভাব থেকে দূরে থাকা যাবে।
এই মন্দিরে পুজো দিতে পারেন
জন্মাষ্টমীতে গোপালের পুজো করার সময় কাল নাগের উপর কৃষ্ণের নৃত্যরত একটি ছবি রাখুন। এরপর রীতি অনুযায়ী পুজো করুন। পাশাপাশি মথুরার কালিয়া নাগ মন্দিরও দর্শন করতে পারেন। মন্দিরের বিশেষত্ব হল, কালিয়া নাগ যখন কৃষ্ণের কাছ থেকে পালাতে শুরু করেন, তখন কৃষ্ণ তাঁর অভিশাপ দিয়ে পাথরের কালিয়া নাগ তৈরি করেছিলেন। এখানে পাথরের কালিয়া নাগ এখনও রয়েছে। তাঁর দর্শনেই কাল সর্প দোষ দূর হয়।
বাঁশি উপহার কিনুন
জন্মাষ্টমীতে কাল সর্প দোষ দূর করতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বাঁশি অর্পন করতে পারেন। রাহু-কেতু হল ছায়া গ্রহ ও নেতিবাচক শক্তি ছড়ায় যা কালসর্প দোষকে কার্যকর করে কিন্তু বাঁশি নেতিবাচক শক্তি দূর করে ও পজিটিভ শক্তি সঞ্চার করে। তা কৃষ্ণকে একটি বাঁশি নিবেদন করুন। পরের দিন বাঁশিটি বাড়িরে সামনে ঝুলিয়ে প্রতিদিন পুজো করুন। এতে করে কাল সর্প দোষ কার্যকর হবে না।
এই জিনিসগুলি নিবেদন করুন
রীতি অনুসারে জন্মাষ্টমীর পুজো করার পর কৃষ্ণকে রূপো বা কাঁচের ট্যাবলেটের মত বল নিবেদন করুন। সবসময় এই বলগুলি আপনার সঙ্গে পরবর্তী সময়ের জন্য রাখুন। এমনটা করলে একজন কালসর্পদোষ থেকে মুক্তি পায়। জীবনে শান্তি আনে। এছাড়াও যাদের কাল সর্প দোষ নেই, তারা তা রাখলে তাদের থেকেও সব সমস্যা দূরে থাকবে। কাচ কেতুর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই এর অশুভ প্রভাব দূরে থাকে।
গীত পাঠ করুন
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন বিধান দিয়ে পুজোর পর গোবিন্দ দামোদর স্তোত্র পাঠ করুন। এটি পাঠ করলে গ্রহের অশুভ প্রভাব দূরে থাকে। ভগবত কাহিনি শ্রবণ করলে বিজয় লাভ হয়। এছাড়াও এই স্তোত্র পাঠ করলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি থাকে ও শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদও পাওয়া যায়।