Kartik Puja 2021: দক্ষিণ ভারতে কার্তিক এত জনপ্রিয় কেন, জানেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Nov 17, 2021 | 11:56 PM

তামিল ও মালয়ালম ভাষায় কার্তিক মুরুগান বা ময়ূরী স্কন্দস্বামী নামে এবং কন্নড় ও তেলুগু ভাষায় তিনি সুব্রহ্মণ্যম নামে পরিচিত। তামিল বিশ্বাস অনুযায়ী মুরুগান তামিলদেশের (তামিলনাড়ু) রক্ষাকর্তা।

Kartik Puja 2021: দক্ষিণ ভারতে কার্তিক এত জনপ্রিয় কেন, জানেন?
ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

দক্ষিণ ভারতে কার্তিক ঠাকুরের জনপ্রিয়তা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গেও তার কদর রয়েছে ভালই। দক্ষিণে অসংখ্য মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হল কার্তিকেয় বা মুরুগান। পুরাণ অনুযায়ী, কার্তিকেয় বা কার্তিক হলেন হিন্দু যুদ্ধদেবতা। তিনি পরম পুরুষ শিব ও আদি পরাশক্তি পার্বতীর সন্তান। কার্তিক বৈদিক দেবতা নন; তিনি পৌরাণিক দেবতা। অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মতো কার্তিকও একাধিক নামে অভিহিত হন। যথা – কৃত্তিকাসুত, আম্বিকেয়, নমুচি, স্কন্দ, শিখিধ্বজ, অগ্নিজ, বাহুলেয়, ক্রৌঞ্চারতি, শরজ, তারকারি, শক্তিপাণি, বিশাখ, ষড়ানন, গুহ, ষান্মাতুর, কুমার, সৌরসেন, দেবসেনাপতি গৌরী সুত, আগ্নিক ইত্যাদি।

তামিল ও মালয়ালম ভাষায় কার্তিক মুরুগান বা ময়ূরী স্কন্দস্বামী নামে এবং কন্নড় ও তেলুগু ভাষায় তিনি সুব্রহ্মণ্যম নামে পরিচিত। তামিল বিশ্বাস অনুযায়ী মুরুগান তামিলদেশের (তামিলনাড়ু) রক্ষাকর্তা। দক্ষিণ ভারত, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও মরিশাস – যেখানে যেখানে তামিল জাতিগোষ্ঠীর প্রভাব বিদ্যমান সেখানেই মুরুগানের পূজা প্রচলিত। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাংশে কার্তিকেয়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত কথারাগম মন্দিরে হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

কৌমারাম নামে একটি সম্প্রদায়, যাদের বিশেষ করে দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় তামিল, কন্নড়, বেদ্দাদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। তাদের কাছে কার্তিকেয় হলেন পরমেশ্বর। তারা ভগবান কার্তি‌কেয়কে ত্রিমূর্তিরও চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করে এবং শুধুমাত্র তাঁর সেবা করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করে। কৌমার উৎসবে তারা প্রমত্ত নাচ করে।

জন্মকাহিনি

তারকাসুরকে বধের জন্য তার জন্ম হয়েছিল। পরমেশ্বর শিব ও পরমেশ্বরী পার্বতীর যোগের মাধ্যমে আত্ম মিলন হয়।ফলে এক অগ্নিপিণ্ডের সৃষ্টি হয়। রতির অভিশাপের সম্মান রক্ষার্থে গর্ভে সন্তান ধারণ করেননি মা পার্বতী। তাছাড়া ঈশ্বর কখনও মনুষ্যের ন্যায় সন্তান জন্ম দেন না। অগ্নিদেব সেই উৎপন্ন হওয়া নব্য তেজময় জ্যোতিপিন্ড নিয়ে পালিয়ে যান।ফলে মা পার্বতী যোগ ধ্যান সমাপ্তি হতেই ক্রুদ্ধ হন।অগ্নিদেব ঐ অগ্নিপিণ্ডের তাপ সহ্য করতে না পেরে গঙ্গায় তা নিক্ষেপ করে। সেই তেজ গঙ্গা দ্বারা বাহিত হয় ও সরবনে গিয়ে এক রূপ বান শিশুর জন্ম দেয়। জন্মের পর কুমার কে কৃতিকা গণ স্তন্য পান করালে তিনি কার্তিক নামে অভিহিত হন ।পরে দেবী পার্বতী শিশু স্কন্দকে কৈলাসে নিয়ে আসেন।

 

আরও পড়ুন: Dev Diwali 2021: দীপাবলির পর ফের দীপাবলি! কবে, কখন এই বিশেষ দিন পালন করা হয়, জানেন?

Next Article