হর হর মহাদেব… আজ, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি (Maha Shivratri)। আজকের দিনে মহাদেবের ভক্তরা সারাদিন উপোস করে থাকেন। ভক্তিভরে মহাদেবের পুজো করেন। এবং ভোলেবাবার আশীর্বাদ কামনা করেন। এ বারের মহাশিবরাত্রিতে এক বিশেষ যোগ তৈরি হয়েছে। ১৪৯ বছর পর সূর্য, বুধ ও শনি একসঙ্গে কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই গ্রহের বিরল যোগে শিবের পুজো করলে ভক্তদের ইচ্ছে খুব দ্রুত পূরণ হয়। স্কন্দপুরাণ, লিঙ্গপুরাণ ও পদ্মপুরাণে মহাশিবরাত্রির কথা উল্লেখ করা রয়েছে। মহাশিবরাত্রি হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।
পুরাণ অনুযায়ী জেনে নিন মহাশিবরাত্রির মাহাত্ম এবং গুরুত্ব
মহাশিবরাত্রি ফাল্গুন মাসে উদযাপিত হয়। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণচতুর্দর্শী তিথিতে এক হয়েছিলেন শিব এবং শক্তি। এই দিন বিয়ে হয়েছিল হর-পার্বতীর। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, দেবী সতী পার্বতী রূপে জন্ম নেওয়ার পর মহাদেবকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তাঁর ভালোবাসা, ভক্তি, দৃঢ় সংকল্প, শ্রদ্ধার সামনে মহাদেব মাথা নত করেন। এরপর তাঁদের বিয়ে হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সেই দিনটিতেই পরবর্তীতে মহাশিবরাত্রি পালিত হয়। শিবপুরাণ অনুযায়ী, এই রাত্রিতেই শিব সৃষ্টি, স্থিতি এবং প্রলয়ের মহাতাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন। মহাদেবের প্রলয় নৃত্যর কথা কল্পনা করলে যে কারও গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য। তাঁর রুদ্ররূপ, তেজ যে কাউকে ঝলসে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
বহু যুগ ধরে কুমারী মেয়েদের মধ্যে শিবরাত্রিতে উপোস করার চল রয়েছে। এই দিন সকালে স্নান করে, পরিষ্কার পোশার পরে গঙ্গাজল দিয়ে শিবপুজো করতে হয়। ১০৮ বার ওঁ নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করতে হয়। গঙ্গাজল, দুধ, দই ও মধু দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেকের পর বেলপাতা নিবেদন করতে হবে। এরপর ভক্তিভরে মনের ইচ্ছে মহাদেবের কাছে বলতে হবে।
বিঃ দ্রঃ – এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।