AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Holi 2023: আবির নয়, লাড্ডু ও লাঠির বৃষ্টি হয় হোলি উত্‍সবে, চলে ৪০দিন ধরে!

Vrindavan: বসন্ত পঞ্চমী থেকে শুরু হয় এই হোলি মহোত্‍সব। আর সেই উত্‍সব চলে ৪০ দিন ধরে। বসন্ত পঞ্চমীতে ব্রজ মন্দিরে ভোরবেলা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আবির দেওয়ার প্রথাও শুরু হয়েছে।

Holi 2023: আবির নয়, লাড্ডু ও লাঠির বৃষ্টি হয় হোলি উত্‍সবে, চলে ৪০দিন ধরে!
বৃন্দাবনে শুরু হয়েছে হোলি মহোত্‍সব
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2023 | 6:00 AM
Share

আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই শুরু হবে রঙিন উত্‍সব। শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে রঙিন উত্‍সবে সামিল হতে চান। বাংলার বুকে দোল বা বসন্ত উত্‍সব যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই হোলি নিয়ে সদাব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ব্রজবাসীরা। হোলির উত্‍সব যতই এগিয়ে আসছে, ব্রজে হোলির প্রস্তুতি ততটাই তুঙ্গে। মনে করা হয় মথুররা এই জায়গা থেকেই হোলির রঙ ছড়িয়ে পড়ে সর্বর্ত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই রঙিন উত্‍সবের সাক্ষী থাকতে এখানে উপস্থিত থাকেন। বসন্ত পঞ্চমী থেকে শুরু হয় এই হোলি মহোত্‍সব। আর সেই উত্‍সব চলে ৪০ দিন ধরে। বসন্ত পঞ্চমীতে ব্রজ মন্দিরে ভোরবেলা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আবির দেওয়ার প্রথাও শুরু হয়েছে। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে হোলির মূল অনুষ্ঠান শুরু হলেও ব্রজভূমিতে এখনই চারদিকে হোলির ছোঁয়া লেগে গিয়েছে।

ফুলেরা দুজ দিয়ে শুরু হয়েছে মথুরা-বৃন্দাবনের মন্দির হোলির রঙিন উত্‍সব। এদিন মন্দিরে মন্দিরে ফুল দিয়ে হোলি খেলা হয়। কৃষ্ণ ও রাধাকে ফুলের হোলি দিয়ে প্রথম প্রথম পুজো করা হয়। তারপর থেকে সাধারণ মানুষ ফুলের হোলিতে মেতে ওঠেন। প্রতিবারের মতো এবারও হোলিতে দেশ-বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ভক্ত ব্রজে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এবার বরসানার বিখ্যাত লাড্ডু হোলি পালিত হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরের দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি বরসানার লাঠমার হোলি খেলা হবে। বরসানার হোলির পর ১ মার্চ নন্দগাঁওয়ে লাঠমার হোলির আয়োজন করা হবে।

হোলির ভিন্ন ঝলক

হোলিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে রঙ্গোৎসবের অধীনে সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে লাড্ডু হোলি ও লাঠমার হোলির সময় বারসানায় আসা ভক্ত ও বিদেশি পর্যটকরা এখানে একটি ভিন্ন ঝলক দেখতে পাবেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বারসানায় দুদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ৬ বিভিন্ন স্থানে স্টেজ তৈরি লোকসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেখানে থাকবে ৬ সেলফি পয়েন্ট, বারসানার সমস্ত রাস্তা হবে সাজানো ও রঙিন, প্রবেশদ্বারে থাকবে নয়া ঝলক, সাজানো হবে প্রিয়া কুন্ড ও রাস্তায় রাস্তায় নৃত্য পরিবেশন করা হবে। থাকবে লোকনৃত্যের দল।

কত কুইন্টাল আবির ছড়ানো হবে বৃন্দাবনে

আগামী ৩ মার্চ, রংভর্ণী একাদশী উপলক্ষে, ঠাকুরজি তার ভক্তদের সঙ্গে বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে হোলি খেলবেন। সেই সঙ্গে এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের ভক্ত-পর্যটকরাও বৃন্দাবন প্রদক্ষিণ করবেন। সেখানেই থাকবে আবির ও রঙের অঢেল সরঞ্জাম। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে রঙিন মহোত্‍সব। পাশাপাশি একাদশীতে মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানেও খেলা হবে রঙের খেলা। এরপর ৪ মার্চ গোকূলে ছড়ি বা লাঠমার হোলির আয়োজন করা হবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোকূলে শিশুরূপে ছিলেন, তাই এখানে হত্যা ও অশুভ ঠেকানোর জন্য লাঠি ব্যবহার করা হয়।

ব্রজের হোলির প্রধান অনুষ্ঠান

-২৭ ফেব্রুয়ারি বরসানার লাড্ডু হোলি

– ২৮ ফেব্রুয়ারি বারসানায় লাঠমার হোলি

– ১ মার্চ নন্দগাঁওয়ের লাঠমার হোলি

– ৩ মার্চ রঙ্গভর্ণী একাদশী বৃন্দাবন পরিক্রমা

মথুরায় শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থান লাঠমার হোলি

– ৪ মার্চ গোকুলে লাঠমার হোলি

– ৭ মার্চ, হোলিকা দহন,

– ১৫ মার্চ রংজি মন্দির বৃন্দাবনে হোলি উৎসব