
মহাশিবরাত্রি শিবভক্তদের কাছে এক বিশেষ দিন। ওই দিন শিব ঠাকুরের প্রিয় জিনিস গ্রহণ করলে, বা ঘরে আনলে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ে। মহাদেবের প্রিয় জিনিসগুলির মধ্যে অন্যতম হল রুদ্রাক্ষ। এ ছাড়া হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস অনুযায়ী, রুদ্রাক্ষ পরলে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। মহাদেব নিজেও রুদ্রাক্ষ ধারণ করেছেন। রুদ্রাক্ষ বিভিন্ন প্রকারের হয়। এক থেকে চোদ্দমুখী রুদ্রাক্ষও রয়েছে। প্রতিটি রুদ্রাক্ষের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। রুদ্রাক্ষ একটি শুকনো ফল। তবে এর উৎপত্তি নিয়ে এক পৌরাণিক কাহিনির প্রচলনও রয়েছে। সনাতন ধর্মে রুদ্রাক্ষকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বলে মনে করা হয়। অনেকে রুদ্রাক্ষ পরেন। মহাদেবকে প্রসন্ন করার জন্য অনেকে মহাশিবরাত্রির দিন রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন। এই বিশেষ দিনে রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে চাইলে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখা উচিত।
জেনে নিন রুদ্রাক্ষ ধারণ করার নিয়ম —
কোন দিন রুদ্রাক্ষ পরার জন্য খুবই শুভ? মহাশিবরাত্রি ছাড়া অন্য দিন যদি রুদ্রাক্ষ পরতে চান, তা হলে অমাবস্যা, পূর্ণিমা, শ্রাবণ মাসের সোমবারে তা ধারণ করতে পারেন।
রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে কী উপকার হয়? ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, রুদ্রাক্ষ পরলে যে কোনও গ্রহের খারাপ দশা কেটে যায়। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নেতিবাচক শক্তির বিরুদ্ধে ভালো কাজ দেয় রুদ্রাক্ষ। ১৪ বছরের থেকে যাদের বয়স কম তারা ছ’মুখী রুদ্রাক্ষ পরলে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ে। মনকে শান্ত এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে রুদ্রাক্ষ।
বিঃ দ্রঃ – এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।