সুসময়ে সকলেই স্বাগত জানায়। অনেক সময়ই সুখে থাকা , না থাকা নির্ভর করে মা লক্ষ্মীর কৃপার উপর। মা লক্ষ্মী যদি কোনও সংসারে প্রবেশ করেন , তাহলে সেই গৃহস্থে প্রবল শান্তি-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে , কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই বোঝা যায় যে অর্থের আগমন খুব তাড়াতাড়ি হবে কি না ।
ঘরে যদি খুব কালো পিঁপড়ে আসতে শুরু করে দেয় , তাহলে বুঝতে হবে যে খুব শিগগিরই আগমন ঘটতে চলেছে মা লক্ষ্মীর। তবে এতেও রয়েছে একটি শর্ত। লক্ষ্মী ঠাকুরের কৃপাতে গৃহস্থ সমৃদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় থাকে। অনেকেই মনে করে থাকেন যে যদি বাড়িতে কালো পিঁপড়ের আনাগোনা হয় , তাহলে তা বৃষ্টি আসার ইঙ্গিত। তবে জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা বলেছেন , বাড়িতে শুধু কালো পিঁপড়ে আসলেই হবে না , কালো পিঁপড়ে এসে গোল করে যদি কোনও কিছু খায় , তাহলে ধরে নিতে হবে বাড়িতে অর্থের সমাগম হবে।
শাস্ত্রমতে বলা হচ্ছে , পাখির বাসা যদি বাড়িতে থাকে , তাহলে তা জ্যোতিষ মতে খুবই ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করতে পারে। এমনিতেই জ্যোতিষ মতে বাড়িতে পশু পাখির আনাগোনা খুবই ভালো জিনিস। তবে পাখির আনাগোনায় লক্ষ্মীর আগমন থাকে বলে অনেকেই মনে করেন। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বাড়িতে যদি পাখির বাসা তৈরি হয় , তাহলে তা সৌভাগ্যের প্রতীক বলে বিবেচিত হয়। এমন ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে বাড়িতে টাকা-পয়সা , অর্থ-সম্পত্তি আসতে পারে।
অনেকেই মনে করেন যে , বাড়ি থেকে বেরিয়েই ঝাড়ু দেখলে দিন খারাপ যায় ! এই ধারণা ভুল। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঝাড়ুর দর্শনে দিন ভালো যায় , আর তা দেখলেই ঘরে লক্ষ্মীর প্রবেশ হয় বলে মনে করা হয়। মূলত, বাড়িতে ঝাড়ু বা ঝাঁটাকে লক্ষ্মী রূপে অনেকেই পূজা করেন। ফলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ভুলবশত যদি ঝাড়ুর দর্শন হয়ে থাকে , তাহলে তা ফলদায়ী বলে মনে করা হয়।
অনেকেই বাড়িতে টিকটিকি দেখলেই বিরক্ত হন। অনেকে তা মারতেও উদ্যত হন। তবে এই প্রাণীটিকে বাড়ি থেকে তাড়ালে লক্ষ্মী প্রবেশ আটকে যায় বলে মনে করেন অনেকেই। জ্যোতিষ মতে বলা হয় , যে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর কৃপা রয়েছে সেই বাড়িতে টিকটিকির আনাগোনা বাড়ে। তবে টিকটিকি যদি বাড়িতে তুলসী মঞ্চের আশেপাশে দেখা যায় , তাহলে জানতে হবে খুব শিগগির আপনার হাতে টাকা , সম্পত্তি আসবে। দীপাবলির রাতে টিকটিকিকে তুলসী মঞ্চের কাছে দেখতে পাওয়া খুব ভালো সংকেত বলে মনে করা হয়।
শাঁখের আওয়াজে শত্রু দমন হয় এমনটাই বলা হয়। তবে শাঁখের আওয়াজ যদি বিশেষ সময়ে শোনা যায় তাহলে তো খুবই ভালো ফলদায়ী। জ্যোতিষ মতে বলা হচ্ছে , যদি সকালবেলা উঠেই শাঁখের আওয়াজ শোনা যায় , তাহলে বুঝতে হবে আপনার পকেট খুব শীঘ্রই ভর্তি হতে চলেছে। এছাড়াও গোধূলিকালে বিকেলের দিকে কোথাও যদি শোনা যায় শাঁখের আওয়াজ , তাহলে ধরে নিতে হবে সেখানে লক্ষ্মীর প্রবেশ হবে।
আরও পড়ুন: Maha Shivratri 2022: সামনেই শিবরাত্রি! জীবনের সব দুর্দশা কাটাতে বাড়িতেই রুদ্রাভিষেকের পুজো করুন