আমরা প্রায়ই হাইওয়ের ধারে কাঠ-করবী (Kaner flower) গাছ দেখতে পাই। কাঠ-করবী , যাকে মানুষ সাধারণ উদ্ভিদ বলে মনে করে, কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এই কাঠ-করবীর খুবই বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। পার্কে বা রাস্তার পাশে প্রায়ই কাঠ-করবীর গাছ দেখা যায়। মানুষ এটা ঘরে রাখতে পছন্দ করেন না। বাস্তুশাস্ত্রে কাঠ-করবীর গাছকে খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এই গাছটি যদি সঠিক রাশিতে এবং সঠিক দিনে বাড়িতে রোপণ করা হয় তবে এটি ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি বজায় রাখে। বাড়ির সঠিক পথে এই গাছ লাগালে ধনসম্পত্তি বাড়ে। অন্যান্য উদ্ভিদের মতোই তাদের নিজস্ব ভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। গোলাপ যেমন লাল, সাদা, কালো, নীল, হলুদ। একইভাবে তএই গাছের ফুলেরও রয়েছে তিনটি প্রকার। সাদা, লাল এবং হলুদ। এই তিনটি প্রজাতিরই আলাদা আলাদা ব্যবহার রয়েছে। সাধারণত হলুদ ফুল বেশি পাওয়া যায়।
কেউ কেউ কাঠ-করবীর গাছকে বন্য উদ্ভিদ বলেও মনে করেন কিন্তু তা একেবারেই ভুল। বাস্তুশাস্ত্রে, কাঠ-করবীর গাছটিকে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আপনি যদি দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে চান, তবে আপনি তাকে সাদা ফুল নিবেদন করুন। সাদা কাঠ-করবী ফুল দেবী লক্ষ্মীর খুব প্রিয়। সবাই জানেন যে ভগবান বিষ্ণু হলুদ জিনিস পছন্দ করেন। ভগবান বিষ্ণুর ভক্তরা সর্বদা তাকে হলুদ পীতাম্বর বা হলুদ ফল বা হলুদ ফুলের মতো হলুদ জিনিস নিবেদন করুন। আপনার আশেপাশেও যদি হলুদ কাঠ-করবীর গাছ থাকে তবে ভুল করেও তা কাটবেন না, কারণ ভগবান বিষ্ণু স্বয়ং কাঠ-করবীর গাছে হলুদ ফুল নিয়ে থাকেন।
কাঠ-করবীর গাছ খুব ইতিবাচক শক্তি উৎপন্ন করে। আপনি যদি আপনার বাড়িতে একটি কাঠ-করবীর গাছ লাগান তবে এটি আপনার বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে এবং এটি শুভ বলেও বিবেচিত হয়। কাঠ-করবীর গাছ এমন একটি উদ্ভিদ যা সারা বছর ফুল ধরে। কোনও ঋতুতেই এ গাছ থেকে ফুল শেষ হয় না। ঘরে কাঠ-করবীর চারা লাগালে যেমন সারা বছর গাছে ফুল থাকে, তেমনি সারা বছরই আপনার ঘরে টাকা থাকবে।
Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোন তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।