সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে সমুদ্রমন্থনের একটি সম্পর্ক ও ইতিহাস জড়িয়ে আছে। ভগবান বিষ্ণু মোহিনীর রূপ নিয়ে অসুরদের সঙ্গে কীভাবে পরাস্ত করেছিলেন, তার একটি পৌরাণিক কাহিনি জড়িয়ে আছে।
বিজ্ঞানের ভাষায় যাই বলা হোক না কেন, হিন্দুধর্ম এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে যে কোনও গ্রহণকে অশুভ বলা হয়েছে। এ কারণে গ্রহনকালে কোনও শুভ কাজ করা হয় না। সেই সঙ্গে গ্রহনকালে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। গ্রহনের বৈজ্ঞানিক কারণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন, তবে এর পিছনে আরেকটি কারণ রয়েছে যা খুবই আকর্ষণীয়।
এ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে আগামী ১৯ নভেম্বর। একই বছরে মানে ১৫ দিন পর, বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ৪ ডিসেম্বরে। এই গ্রহণের বিশেষত্ব হল শতাব্দীর দীর্ঘতম আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে এটি। সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হবে এবং সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত গ্রহণ দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
পৌরাণিক ইতিহাস
সমুদ্র মন্থনের সময় যখন অমৃত বেরিয়ে আসে, তখন মোহিনীর ছদ্মবেশে ভগবান বিষ্ণু প্রথমে দেবতাদের এবং পরে অসুরদের অমৃত দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তাঁর রূপ দেখে মুগ্ধ অসুররা রাজি হয়ে গেলেও স্বরভানু নামক রাক্ষস ভগবান বিষ্ণুর কৌশল বুঝতে পেরে তার রূপ পরিবর্তন করে দেবতাদের কাছে বসে পড়ে। তখন দেবতাদের সারিতে বসে থাকা চন্দ্র-সূর্য তাঁকে চিনতে পেরে ভগবান বিষ্ণুকে জানান।
সেই কথা শুনে ভগবান বিষ্ণু ক্রুদ্ধ হয়ে সুদর্শন চক্র দিয়ে অসুরের ধড় ও মাথা ছিন্ন করে দেন। যেহেতু রাক্ষস কয়েক ফোঁটা অমৃত পান করেছিল, তাই সে মারা যায় না। ক্রুদ্ধ হয়ে সূর্য ও চন্দ্রকে আঁকড়ে ধরে। এই অসুরের মাথাকে রাহু এবং কাণ্ডের নাম কেতু।
আরও পড়ুন: Money Plants: মানি প্ল্যান্টের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে? কেরিয়ার-চাকরি-সম্পতি হারাতে চলেছেন আপনি