AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bama Kali Puja: কাঠ পুড়িয়ে রং করা হয়, বামা কালীর চক্ষুদান হয় কালী পুজোর রাতে!

Bama Kali Puja: সিউড়ির ইন্দ্রগাছা গ্রামের বামা কালী মা। মায়ের গায়ের রং চক্ষুদান করা হয় কালী পুজোর দিন রাতেই। আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। মায়ের মূর্তি গড়া শেষ হয় অমাবস্যা পড়ার পর, পুজোর দিন রাতে।

Bama Kali Puja: কাঠ পুড়িয়ে রং করা হয়, বামা কালীর চক্ষুদান হয় কালী পুজোর রাতে!
Image Credit: Facebook
| Updated on: Oct 30, 2024 | 8:02 PM
Share

কালী পুজোর সময় ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম খুললেই একটাই ভিডিয়ো। তা মা বামা কালীর। ভক্তদের কাধে চেপে অন্ধকার রাস্তার মধ্য দিয়ে ঘাটের দিকে চলেছেন মা বামা কালী। মাঝে মাঝে আবার ভক্তদের কাধেই চলছে মায়ের নাচ। এই ভিডিয়ো দেখলেই যেন গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে। রাস্তার দুই ধারে হাজারো মানুষের ভিড়।

সিউড়ির ইন্দ্রগাছা গ্রামের বামা কালী মা। মায়ের গায়ের রং চক্ষুদান করা হয় কালী পুজোর দিন রাতেই। আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। মায়ের মূর্তি গড়া শেষ হয় অমাবস্যা পড়ার পর, পুজোর দিন রাতে। প্রায় ১৩ ফুটের মাতৃ মূর্তি মন্ডপে নিয়ে আসা হয় কাধে করে। মা এখানে শ্যাম বর্ণা। কাঠে আগুন জ্বালিয়ে যে ভুসোকালি তৈরি হয়, তা দিয়েই কালো রং করা হয় মায়ের গায়ে। এটাই প্রথা। পুজোর দিন মাঝরাতে ৪০ ফুট বড় লাল কাঠের উপরে চাপিয়ে কাধে চাপিয়ে মাকে নিয়ে আসা হয় মূল মন্দিরে। বামা কালীর পুজোয় আজও মানত করে বলি দেন বহু মানুষ। এক রাতেই বলি হয় ১০০ বেশি। এখানে প্রতিমান নিরঞ্জন হয় ভাইফোঁটার দিন। ৫০০ বছর ধরে এই রীতি মেনেই পূজিত হয়ে আসছেন মা বামা কালী।

এ পুজোর শুরু সাধক রাম কানাইয়ের হাত ধরে। ইন্দ্রগাছা গ্রামের বামা কালী সাধক রাম কানাইয়ের কালী হিসাবেও পরিচিত। কথিত, হরকুনার গভীর জঙ্গলে সাধনা করতে গিয়ে মায়ের সাক্ষাৎ পান সাধক রামকানাই। মায়ের সেই রূপ তিনি থালায় এঁকে নেন। জীবন্ত মায়ের সেই রূপের ছবি দেখে বানানো হয় মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি। পুজোর জন্য লেখেন প্রার্থনা মন্ত্র। যা আজ লোকমুখে রাম কানাইয়ের পুঁথি নামে পরিচিত। রামকানাই নাকি রচনা করেছিলেন আরও এক গোপন পুঁথিও। যা আজও কোনও ব্যক্তি বের করতে পারেননি। যে থালায় রাম কানাই মাতৃ মূর্তি এঁকেছিলেন তা আজও যত্ন করে রেখে দেওয়া রয়েছে। ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো রাঢ় বাংলার এক বিস্ময় বটে।