
বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতী। শাস্ত্র মতে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে আরাধিত হন দেবী। প্রচলিত, এই দিন ভক্তি ভরে দেবীর পুজো করলে তুষ্ট হন। তাঁর আশির্বাদে জীবনে উন্নতি ঘটে, ভালো পড়াশোনা হয়। যারা গান করেন বা সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাও ঘটা করে আরাধনা করেন বাগদেবীর। কিন্তু আপনি কি জানেন কী ভাবে পুজো করলে খুশি হন সরস্বতী? কোন মন্ত্রে পাঠ করলে তুষ্ট হন দেবী? জেনে নিন সরস্বতী পুজোর আগে।
শ্রীপঞ্চমী পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র –
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।।
ওঁ সরস্বত্যৈ নমা নিত্যং ভদ্রকাল্যৈ নমা নমঃ বেদবেদান্তবেদাঙ্গ বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ।
এষ সচন্দন পুষ্পবিল্বপত্ৰাঞ্জলি সরস্বত্যৈ নমঃ ॥ ( এই মন্ত্রে তিনবার অঞ্জলি দেওয়াবেন।)
প্রণাম মন্ত্র –
ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললােচনে। বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি সরস্বতী॥ জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগশােভিত মুক্তাহারে। বীণা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমােহস্তুতে। শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ গৃহিণী বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর জন্মােৎসব।
কী ভাবে শুরু হল দেবী সরস্বতীর আরাধনা?
পুরাণ অনুযায়ী ব্রহ্মা জগৎ সংসার সৃষ্টি করেন। গাছপালা, জীব-জন্তু সৃষ্টি সত্ত্বেও কোনও কিছুর অভাব লক্ষ্য করেন। তখন তিনি নিজের কমন্ডল থেকে জল ছেটালে এক অতিব সুন্দরী স্ত্রী প্রকট হন। তাঁর এক হাতে বীণা ও অপর হাতে পুস্তক ছিল। তিনিই দেবী সরস্বতী। সরস্বতীর বীণা বাদনের সঙ্গে সঙ্গে সংসারের সমস্ত জিনিসে স্বরের সঞ্চার হয়। বসন্ত পঞ্চমীর দিনেই সরস্বতীর উৎপত্তি। সে সময় থেকেই দেবলোক ও মৃত্যুলোকে সরস্বতী আরাধনা শুরু হয়।