করোনার জেরে আগের বছরের মতো এবারও বাঙালির প্রিয় উৎসবের রং ফিকে হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে তাতে বাঙালিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। করোনাকে সঙ্গী করেই মেতে উঠেছে দুর্গাপুজো। আশ্বিন মাসে দশ দিন ধরে দুর্গোৎসব পালিত হবে। তবে পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন থেকে। দুর্গা পুজোর এই পাঁচ দিন অর্থাৎ মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয় দশমী ধুমধাম করে পূজিত হয় দেবীর বিভিন্ন রূপ।
নবমীর দিন মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে সকলের। এত আনন্দ, এত দিনের তোরজোড় সবই তো শেষের পথে। যেহেতু পুজোর শেষ দিন তাই যতটা আনন্দে থাকা যায় ততই ভাল। দুর্গোৎসবের নবম দিন হওয়ার পাশাপাশি আজ নবরাত্রিরও নবম দিন। এই দিনে পুজো করা হয় দেবীর সিদ্ধিদাত্রী রূপের।
নবদুর্গার নবম তথা শেষ রূপ হল সিদ্ধিদাত্রী। এই দেবীর উপাসনায় সংসারে সুখ এবং সমৃদ্ধি আসে। দেবী সিদ্ধিদাত্রীর বাহন সিংহ। মায়ের চারটি ভুজা আছে, ডান দিকের উপরের হাতে গদা, আর নীচের হাতে চক্র এবং বাঁ দিকের উপরের হাতে কমলপুষ্প ও নীচের হাতে থাকে শঙ্খ। এই সিংহবাহিনী দেবীর চার হাতে আশীর্বাদী মুদ্রা। এই কারণেই তিনি মানুষের জীবনে নিয়ে আসেন সুখ ও সমৃদ্ধি। দেবীর এই রূপ সিদ্ধি দান করেন। এই কারণে হিন্দুদের বিশ্বাস, নবরাত্রির নবম দিনে এই দেবীর সঠিকভাবে পুজো করলে সব প্রকারের সিদ্ধি প্রাপ্তি হয়।
ভগবত্ পুরাণে কথিত আছে, স্বয়ং মহাদেব দেবী পার্বতীকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করেছিলেন। এবং এই কারণেই নাকি মহাদেব সকল সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। সিদ্ধিদাত্রীর আশীর্বাদেই সর্ব সিদ্ধি লাভ করেন মহাদেব। অন্যদিকে মার্কণ্ডেয় পুরাণে রয়েছে সিদ্ধিদাত্রী অষ্টভুজা। একই সঙ্গে ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের শ্রীকৃষ্ণজন্ম খণ্ডেও রয়েছে সিদ্ধিদাত্রী অষ্টাদশভুজা। তবে সিদ্ধিদাত্রীকে চতুর্ভুজা রূপেও দেখা যায়। সেখানে তিনি শিবের আরাধ্য।
মহানবমীর সময়
১৩ অক্টোবর রাত ৮ টা বেজে ৭ মিনিট থেকে শুরু হবে মহানবমী এবং ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৫২ মিনিটে শেষ হবে মহানবমী। পূর্বাহ্ণ মধ্যে দেবীর কেবল মহানবমীকল্পারম্ভ ও মহানবমীবিহিত পূজা প্রশস্তা এবং দেবীর নবরাত্রিক ব্রত সমাপন।
আরও পড়ুন: রাবণ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য, যা অনেকেরই জানা নেই
আরও পড়ুন: শারদীয়া থেকে কারওয়া চৌথ, অক্টোবরে কোন কোন সময়ে কী কী পুজো-পার্বণ রয়েছে, জেনে নিন
আরও পড়ুন: আজকের দিনেও জাতির জনকের বিখ্যাত বাণীগুলি সমান গুরুত্বের! রইল ১০টি উক্তি