AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হিন্দু মতে বিয়েতে সাত পাকের সাত প্রতিজ্ঞা কী কী জানা আছে?

হিন্দু বৈদিক বিবাহের আচার অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল কুশণ্ডিকা, লাজহোম, সপ্তপদী গমন, ধৃতিহোম, চতুর্থী হোম। তবে হিন্দু বিয়ের লৌকিক আচারের সঙ্গে বৈদিক প্রথাগুলির কোনও সম্পর্ক নেই।

হিন্দু মতে বিয়েতে সাত পাকের সাত প্রতিজ্ঞা কী কী জানা আছে?
ছবিটি গুগল ইমেজেস থেকে নেওয়া হয়েছে
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2021 | 8:38 AM
Share

বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন, যেখানে দুটি মানুষ একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতি বিশেষে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকে, তবুও এর সারমর্ম একই। বিয়ে এমন একটি রীতি যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ও সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। বাঙালি হিন্দু বিয়ের লৌকিক আচার বহুবিধ।

হিন্দু বৈদিক বিবাহের আচার অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল কুশণ্ডিকা, লাজহোম, সপ্তপদী গমন, ধৃতিহোম, চতুর্থী হোম। তবে হিন্দু বিয়ের লৌকিক আচারের সঙ্গে বৈদিক প্রথাগুলির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে লৌকিক প্রথাগুলি বর্ণ, গোষ্ঠী, এলাকাভেদে তা ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হয়।

আরও পড়ুন: সারাবছর শনি দেবকে তুষ্ট রাখতে কী করবেন? কী করবেন না?

হিন্দু বাঙালি বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আচার হল সাত পাকে বাঁধা। বিয়ের দিন ছাদনাতলায় বর এলে কনেকে পিঁড়িতে বসিয়ে নিয়ে আসা হয়। কনের মুখ পান পাতা দিয়ে ঢাকা থাকে। বরের চারপাশে কনেকে ঘোরানো হয় সাতবার, একেই সাতপাক বলে। তারপর কনেকে পিঁড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হলে কনে মুখ থেকে পান পাতা সরিয়ে বরের দিকে তাকায়। একে শুভদৃষ্টি বলে। হিন্দু মতে বিয়েতে আরও একটি উল্লেখোগ্য নিয়ম রয়েছে, যাকে সাত পাকে বাঁধা পড়া বলে। এই নিয়মের মধ্যে দিয়েই দুটি মানুষের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও ভালবাসার প্রতীক হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে থাকে। অগ্নিদেবতাকে বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে আগুনের কুন্ডলীর চারপাশে বর-বউকে ঘুরতে দেখা যায়। একে সাত পাকে বাঁধা পড়া বলা হয়। শুধু আগুনের চারপাশে ঘোরাই নয়, এই সময়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দিতে হয় একে অপরকে। আর সেই প্রতিজ্ঞাগুলি কী কী জেনে নিন…

প্রথম প্রতিজ্ঞা: স্বামী ও স্ত্রী চান বাড়িতে কখনও খাদ্য বা ধন সম্পত্তির অভাব যেন না হয়। স্বামী স্ত্রীকে খুশি রাখার এবং স্ত্রী দায়িত্বপালনের প্রতিজ্ঞা করেন।

দ্বিতীয় প্রতিজ্ঞা: স্বামী-স্ত্রী দুজনে দুজনকে সমর্থন করার এবং শরীর-মনে একাত্ম হওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।

তৃতীয় প্রতিজ্ঞা: স্বামী ও স্ত্রী ধন সম্পত্তি সামলে রাখার ও বৃদ্ধি করার প্রতিজ্ঞা করেন। তারা প্রতিজ্ঞা করেন সন্তানের সঠিক দেখাশোনা করবেন।

আরও পড়ুন: ঘরে শিবলিঙ্গ রয়েছে? কোথায়,কোনদিকে শিবের মূর্তি রাখলে সব অমঙ্গল দূর হবে

চতুর্থ প্রতিজ্ঞা: সদ্য বিবাহিত দম্পতি প্রতিজ্ঞা করেন তারা পরস্পরের পরিবারকে সম্মান জানাবেন। তাঁদের দেখাশোনার দায়িত্ব নেবেন এবং মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেবেন।

পঞ্চম প্রতিজ্ঞা: তারা ঈশ্বরের কাছে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান সন্তানের প্রার্থনা করেন। তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেন সন্তানের সুশিক্ষার ব্যবস্থা তাঁরাই করবেন।

ষষ্ঠ প্রতিজ্ঞা: পরস্পরের সুস্বাস্থ্য ও রোগহীন জীবন কামনা করেন দুজনে।

সপ্তম প্রতিজ্ঞা: শেষ প্রতিজ্ঞা হল এই সম্পর্ক যেন চিরস্থায়ী ও মজবুত হয় তার জন্য দুজনেই সচেষ্ট থাকবেন।