Mythology of Diwali: দীপাবলিতে মাটির প্রদীপ কেন জ্বালানো হয়? আতসবাজি পুড়িয়ে উত্সব পালনের অজানা তথ্য জানুন
Diwali festival in India : মোট ৫দিন ধরে চলে হিন্দুদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই উত্সব। ভূত চতুর্দশী, ধনতেরস, দীপাবলি, শ্যামপুজো, লক্ষ্মীপুজোর মাধ্যমে এি উত্সব পালন করা হয়ে থাকে। সবকটি দিনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালির কাছে শ্যামাপুজোর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। আর সব কটি দিনের পিছনেই রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি। দীপাবলি উত্সবের নেপথ্যে কী কী কারণ ও পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে, তা জানুন...

বিজয়া দশমীর ঠিক পরের দীপান্বিতা অমাবস্যা পালিত হয় কালীপুজো। সেদিন গোটা ভারতে উদযাপন করা হয় দীপাবলি উত্সব। দুর্গাপুজোর বিষাদ কাটতে না কাটতেই শ্যামাপুজোর তোরজোর শুরু হয়ে যায়। দীপাবলি আসার আগেই ঘর পরিষ্কার করা, ঘর সাজানো, নতুন রঙ করা, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার করার মতো গুরুত্বপর্ণ কাজ সেরে ফেলা হয়। এরপর ছোট ছোট প্রদীপ জ্বালিয়ে, রঙিন আলো লাগিয়ে, আতসবাজি পুড়িয়ে আলোর উত্সব পালন করা হয়। অন্ধকারের কালিমা ঘুচে নতুন আলোর সঞ্চার ঘটিয়ে শুভ কামনা করাই এই উত্সবে মূল লক্ষ্য। তবে এই উত্সব পালন করার মাহাত্ম্য কী? কেনই বা করা হয়? কীভাবে এই উত্সবের আবির্ভাব ঘটল, তার পিছনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। রয়েছে সনাতন ধর্মের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি।
দীপাবলি উত্সবে কেন আলো জ্বালানো হয়? হিন্দুমতে, আলো হল পবিত্রতা, সৌভাগ্য, পরাক্রমকে জয় করার প্রতীক। অন্ধকার ও অশুভ শক্তিকে নাশ করার একটি পবিত্র দিন। একগুচ্ছ প্রদীপের সমষ্টিই হল এই আলোর উত্সবের গুরুত্ব। মোট ৫দিন ধরে চলে হিন্দুদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই উত্সব। ভূত চতুর্দশী, ধনতেরস, দীপাবলি, শ্যামপুজো, লক্ষ্মীপুজোর মাধ্যমে এি উত্সব পালন করা হয়ে থাকে। সবকটি দিনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালির কাছে শ্যামাপুজোর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। আর সব কটি দিনের পিছনেই রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি। দীপাবলি উত্সবের নেপথ্যে কী কী কারণ ও পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে, তা জানুন…
মহালয়ায় শ্রাদ্ধগ্রহণের জন্য পিতৃপুরুষরা মর্ত্যে আসেন। তাঁদের পথ দেখানোর জন্যই প্রদীপ জ্বালানো , ফানুস ওড়ানো হয়ে থাকে। এদিন আসতবাজিও পোড়ানো হয়। আকাশ প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখারও নিয়ম রয়েছে। দীপাবলিতে আলো জ্বালানোর পিছনে সবচেয়ে বেশি যে কাহিনি মাথায় আসে, তা হল, ক্রেতাযুগে শ্রীরামচন্দ্র যখন রাবণ-বধ করে ও চৌদ্দ বছরের বনবাস শেষে অযোধ্যায় ফিরে আসেন, সেদিনটি দীপাবলি হিসেবে গোটা দেশে পালিত হয়। ওই দিন অযোধ্যার প্রতিটি বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল। আনন্দে আত্মহারা হয়ে আতসবাজি পুড়িয়েছিলেন। সেইথেকে সনাতন ধর্মমতে দীপাবলির দিন মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ও আতসবাজি পুড়িয়ে উত্সব পালন করার রীতি অব্যাহত।
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশীতে পালিত হয় দীপাবলি। এর অন্যতম কারণ হল,এদিনই ভয়ঙ্কর অসুর নরকাসুরকে বধ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। অসুর নিধনের জয়ের কারণেই দীপান্বিতা অমাবস্যায় শ্রীকৃষ্ণের ভক্তরা মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ও শব্দবাজি ফাটিয়ে আনন্দোত্সব পালন করেছিলেন। এই পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে দীপাবলিতে দীপদান প্রথা রয়েছে।
দীপাবলির দিন লক্ষ্মীপুজোর চল রয়েছে। এই লক্ষ্মী আসলে অলক্ষ্মী। পুরাণ অনুসারে, এদিন ক্ষীরসাগরে সমুদ্রমন্থনের সময় শ্রীলক্ষ্মীর আবির্ভাব হয়েছিল। কার্তিক অমাবস্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে অলক্ষ্মীকে বিদায় জানাতে দীবাপলি উত্সব পালন করা হয়। আবার অনেকে মনে করেন, এদিন শ্রীলক্ষ্মীকে বলিরাজার বন্দিশালা থেকে উদ্ধার করেছিলেন শ্রীবিষ্ণু। তাই মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে এদিন উত্সব পালন করা হয়ে থাকে।
