হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রি। বাংলায় যাকে বাসন্তী পুজো নামেও পরিচিত। এদিন প্রথমে কলস স্থাপনের মধ্য দিয়ে নবরাত্রি উপবাস শুরু হয়। এই সময় সব ভক্তই চান নবরাত্রি তার জন্য শুভ হোক ও দুর্গার আশীর্বাদ তার ঘরে বিরাজ করুন। দশভুজার আশীর্বাদে সুখ,সমৃদ্ধি বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, ২২ মার্চ থেকে নবরাত্রির সঙ্গে হিন্দু নববর্ষ নব সংভাতসর ২০৮০-ও শুরু হবে। নয় দিন ধরে চলা উত্সবে শক্তির দেবীর নয়রূপকে পুজো করা হয়। শুধু তাই নয়, বাসন্তী পুজোয় দেবী দুর্গা কোন বাহনে চড়ে মর্ত্যে আসছেন তাও জানা দরকার। কারণ এই বাহনেরও তাত্পর্য রয়েছে, যা দেশ ও দশের ভবিষ্যত বাতলে দেয়।
বাহনের তাৎপর্য
দশভুজার বাহন শুভ ও অশুভ ফলাফলের সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রকৃতি থেকে মানুষের জীবনে এর অনেক প্রভাব রয়েছে। তাই দুর্গার বাহনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে দেবী দুর্গা এবার আসবেন নৌকায় চড়ে। এবছর নৌকার প্রভাবে কীকী ঘতে চলেছে, ভক্তদের কাছে শুভ না অশুভ, তা জেনে নিন…
গজে চ জলদা দেবী ক্ষত্র ভং স্তুরংমে। নৌকা সর্বসিদ্ধিস্য দোলায় মারানধুভম্।।
দেবী দুর্গা যখন হাতির পিঠে চড়ে আসেন, তখন বৃষ্টি বেশি হয়। যদি ঘোড়ায় চড়ে আসেন, তাহলে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে দেশে। আর নৌকায় চড়ে আসা শুভ বলে মনে করা হয়। এ ভাবে, দুর্গার প্রতিটি যাত্রায় কিছু শুভ ফল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ, মহামারী ইত্যাদি নির্দেশ করে।
কেন নৌকায় চড়ে আসা বিশেষ
এই বছর নবরাত্রিতে দুর্গার নৌকো যাত্রা। নৌযান জল পরিবহনের একটি মাধ্যম। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, যখন নৌকায় আসেন, তখন ভালো বৃষ্টি ও ভালো ফসলের লক্ষণ। নৌকায় দুর্গার আগমন বা প্রস্থান মানে দেবীর কাছে যা চাইবেন তাই পাবেন ভক্তরা।
দেবীর আগমন ঠিক হয় দিনে
নবরাত্রি যদি সোমবার বা রবিবার শুরু হয়, তবে দুর্গার বাহন হল হাতি। শনিবার বা মঙ্গলবার নবরাত্রি শুরু হলে দুর্গা ঘোড়ায় চড়ে আসেন। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার থেকে নবরাত্রি শুরু হলে দশভুজার আগমন ঘটে পাল্কিতে, অন্যদিকে, যেখানে বুধবার থেকে নবরাত্রি শুরু হলে দুর্গার বাহন নৌকো।